Dhaka 12:42 pm, Sunday, 23 November 2025

সভ্যতার অগ্রযাত্রায় প্রবীণদের অবদান অনস্বীকার্য: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:15:20 am, Tuesday, 1 October 2024
  • 196 Time View

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, প্রবীণের অভিজ্ঞতার আলোকে তারুণ্যের উদ্যমকে সঠিক পথে পরিচালনার মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। সভ্যতার অগ্রযাত্রায়ও প্রবীণদের অবদান অনস্বীকার্য।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য: বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের পথক্রমে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি শক্তিশালী যত্ন ও পরিচর্যা কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রবীণদের মর্যাদাসম্পন্ন, দারিদ্র্যমুক্ত, কর্মময়, সুস্থ ও নিরাপদ পারিবারিক ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা’ ও ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে এবং আশ্রয় ও স্বজনহীন প্রবীণদের জন্য ৮টি প্রবীণ নিবাস স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর যথাযথ কল্যাণ নিশ্চিতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং তারা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সাম্যতা অর্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, চিরায়ত বাংলার পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আমি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব স্তরে প্রবীণবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বার্ধক্যে নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্বসহ বয়সজনিত বহুবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সমাজের সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় এই জনগোষ্ঠী যেন শেষ বয়সে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি জনহিতৈষী সংগঠন ও বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি প্রবীণবান্ধব সমাজ গঠনে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধেও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বিশ্বের প্রবীণদের সুস্বাস্থ্য, শান্তিময় ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন কামনা করেন এবং ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২৪’ উদযাপনের সফলতা কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

সভ্যতার অগ্রযাত্রায় প্রবীণদের অবদান অনস্বীকার্য: রাষ্ট্রপতি

Update Time : 06:15:20 am, Tuesday, 1 October 2024

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, প্রবীণের অভিজ্ঞতার আলোকে তারুণ্যের উদ্যমকে সঠিক পথে পরিচালনার মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। সভ্যতার অগ্রযাত্রায়ও প্রবীণদের অবদান অনস্বীকার্য।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য: বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের পথক্রমে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি শক্তিশালী যত্ন ও পরিচর্যা কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রবীণদের মর্যাদাসম্পন্ন, দারিদ্র্যমুক্ত, কর্মময়, সুস্থ ও নিরাপদ পারিবারিক ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা’ ও ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে এবং আশ্রয় ও স্বজনহীন প্রবীণদের জন্য ৮টি প্রবীণ নিবাস স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর যথাযথ কল্যাণ নিশ্চিতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং তারা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সাম্যতা অর্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, চিরায়ত বাংলার পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আমি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব স্তরে প্রবীণবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বার্ধক্যে নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্বসহ বয়সজনিত বহুবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সমাজের সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় এই জনগোষ্ঠী যেন শেষ বয়সে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি জনহিতৈষী সংগঠন ও বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি প্রবীণবান্ধব সমাজ গঠনে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধেও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বিশ্বের প্রবীণদের সুস্বাস্থ্য, শান্তিময় ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন কামনা করেন এবং ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২৪’ উদযাপনের সফলতা কামনা করেন।