শনিবার, ১৯ Jul ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও মবসন্ত্রাস দমন করার দাবিতে মানববন্ধন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ১৩ কেজি গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ  নারায়ণগঞ্জ সদর থানা অটো চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি,গ্রেফতার করেছে পুলিশ চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করছে ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দীন দুই জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল হাইওয়ে থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার সেই নান্নু নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা থেকে গ্রে’প্তার নারায়ণগঞ্জ পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর  গড়ার জন্য সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের আহবান অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে: নুর বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযান

মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার নির্দেশে আমলাপাড়ায় ব্যবসায়ীর ছেলের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধর, থানায় অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা নির্দেশে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীর ছেলে-পূত্রবধূসহ পরিবারের সদস্যদের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির আহমেদ। আগে ২২ ডিসেম্বর নগরীর আমলাপাড়া এলাকায় ‘আমলাপাড়া গার্লস হাই স্কুল’ সংলগ্ন মাছুয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।

থানায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তারা হলেন, আমলাপাড়া এলাকার পাগলার ছেলে বাহার ও রাহাত, ইসলামের ছেলে অনিক ও শাওন, বাবুলের ছেলে আদর, বাবু, টিনা ও একউ এলাকার জুয়েলের ছেলে তারিক।

অভিযোগ পত্রে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন, ‘গত ২২ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় আমার বড় ছেলে মারবিন হাসান দূর্জয় কে নিয়ে ইন্টারনেট ওয়াইফাইয়ের কাজে হকার্স মার্কেটে ব্যস্থ ছিলাম। এসময় অভিযুক্তরাসহ আরো ১০-১৫ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী উপস্থিত হয়ে আমার ছেলের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকী দেয়। এতে আমার ছেলে প্রতিবাদ করিলে তারা হাতুরী ও দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় আমার ছেলে জীবন নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পৌছালে আমি সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হই। প্রাথমিকভাবে কর্তব্যরত ডাক্তারের মাধ্যমে ছেলের চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা শেষে রাত ৯.৪৫ মিনিটের সময় বাসার গেইটে পৌঁছলে অভিযুক্তরা পুনরায় আমাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং আমার ৩ পুত্র, বড় পুত্রবধূ এবং আমার স্ত্রী সহ আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো আমার পুত্র বধূকে শারীরিকভাবে কিলঘুষি, লাথি মারার কারনে তার গর্ভে থাকা ৩ মাসের সন্তান দুনিয়ায় আসার আগেই নষ্ট হয়ে যায়।

অভিযুক্তরা ২য় দফায় আহত করার কারনে আমরা চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যেতে চাইলে তারা আমাদের খানপুর হাসপাতালে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয় ও চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র নিয়া যায়। তাদের ভয়ে বর্তমানে আমরা এলাকা ছাড়া এবং ভয়ংকর মানবেতর জীবন যাপন করছি।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com