শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি :গাজীপুর শ্রীপুর পৌর বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ আফাজ উদ্দিন মোল্লা উপর হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোঃ আফাজ উদ্দিন মোল্লা ভাই মোঃ হেলাল মোল্লা (৬০) বাদী হয়ে ওয়াদুদ মোল্লা (৪৮), সাখাওয়াত মোল্লা (৪৬), ইলিয়াস মোল্লা (৩৫), ইমরান মোল্লা (২২) সর্ব পিতা- মৃত আবু কালাম মোল্লা, ছায়ু মোল্লা (৪০) পিতা- মৃত রজব আলী মোল্লা, তন্ময় (২০) পিতা- ওয়াদুদ মোল্লা, সহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০থেকে ১৫ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হেলাল মোল্লা তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, বিভিন্ন লোকের দায়েরকৃত একাধিক মামলার আসামী উল্লেখিত বিবাদীগ। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া শত্রুতা পোষণ করিয়া আমাদেরকে মারপিট ও খুন জখমের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে তারা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় আমার ভাই আফাজ মোল্লা শ্রীপুর জমি রেজিঃ করার জন্য বাড়ী হইতে তাহার প্রাইভেটকার যোগে রওনা হইয়া ভাংনাহাটি পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় আসা মাত্রই উক্ত বিবাদীগণ পরিকল্পিত ভাবে ভাবে রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্বক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার ভাইয়ের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করিয়া আমার ভাইকে টানিয়া সেচড়াইয়া নামাইয়া হত্যার করার উদ্দেশ্যে হামলা করেন।
বিবাদীগনদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়া আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে কোপ মারিলে আমার ভাইয়ের মাথার উপরে লাগিয়া ব্যাপক বিস্তৃত কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে তাহাদের হাতে থাকা রাম দিয়া স্বজোর কোপ মারিলে আমার ভাইয়ের মুখের বাম পাশের গালে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। আমার ভাইয়ের প্রাইভেটকারের ভিতরে একটি ব্যাগে রাখা নগদ টাকা নিয়া যায়। আমার ভাইয়ের আর্তচিৎকারে আশপাশ হইতে আমার জ্যাঠাত ভাই মোস্তাজ উদ্দিন মোল্লা, চাচাত ভাই বাবুল, ভাতিজা তোফাজ্জলসহ আমি ঘটনাস্থলে আসিলে বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা রাম দা দিয়া আমাদের উপর হামলা করে। কিল, ঘুষি মারিয়া এবং লাঠি দিয়া পিটাইয়া নীলাফুলা ব্যাথাযুক্ত জখম করে। আশপাশ হইতে বহু লোকজন আসিয়া আমাদেরকে উদ্ধার করে প্রাইভেটকারসহ সিএনজি যোগে শ্যীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন।
ওয়াদুদ মোল্লা জানান, এ অভিযোগ মিথ্যা। আমাদের উপর হামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।