অগ্নিশিখা অনলাইন
- ১২ জুলাই, ২০২৪ / ৬৪ বার
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সদর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল গাইনের বিরুদ্ধে সত্য সংবাদ প্রকাশে ফেসবুকে স্টাটাস অতঃপর ডিলেট কালিগঞ্জে সেবাখাতের টাকা আত্মসাৎ এর চেষ্টা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে সচেতন মহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের এহেন কর্মকান্ডে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সর্বমহলে। বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব অনিয়ম আর দুর্নীতির খবর। অপরদিকে সাংবাদিকবৃন্দের জড়িয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল গাইনের ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর স্ট্যাটাস প্রকাশের দশ মিনিট পরে ডিলিট। সবমিলে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের দাবী উপজেলা এলাকার সচেতন মহলের। উল্লেখ্য যে, পৃথক ২১ টি খাতের বিভিন্ন চাহিদার বিপরীতে ২০২৩-২৪অর্থ বছরে সেবা খাতের বরাদ্দের ৬ লক্ষ ৯ হাজার ১ শত ৮৩ টাকার কথা কাউকে না জানিয়ে নিজে আত্মসাৎ করার জন্য ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে স্ট্যাম্প, ভ্যাট, আই টি বাদে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয় এর একাউন্টে না রেখে নিজের ব্যক্তিগত একাউন্টে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গতকাল দ্রুত সাতক্ষীরা থেকে কিছু মালামাল কিনে এনে দায় উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সরকারি কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অত্র বিদ্যালয়ের নাম না প্রকাশ করা শর্তে একাধিক শিক্ষক, কর্মচারীরা সাংবাদিকদের জানান ২০২৩ -২৪ অর্থ বছরের চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগের সেবা খাতে ৬ লক্ষ ১ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। উক্ত টাকা গুলোর কাজ ৩০ শে জুনের মধ্যে সম্পাদন করে উত্তোলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বরাদ্দের টাকার বিষয়ে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীকে না জানিয়ে ৩০ জুন বিভিন্ন দোকান থেকে তার সহযোগি গুটি কয়েক শিক্ষকদের নিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে জমা দিয়ে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে। উত্তোলনকৃত টাকা কোন শিক্ষক-কর্মচারীদের না জানিয়ে তিনি তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা করেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ওই সময় বিক্ষিপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা তার নিকট জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার গেলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে। তবে কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং কত টাকা বরাদ্দ ছিল এ বিষয়ে কাউকে কিছু পরিষ্কার করতে পারেননি। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় বিদ্যালয় ভবনে শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে সভা ডাকে। উক্ত সভায় টাকার কথা স্বীকার করলেও প্রকৃতপক্ষে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং উত্তোলনকৃত টাকা স্কুল ফান্ডে না রেখে কোথায় রাখা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক ধারণা দেওয়া হয়নি । তবে স্কুলে ৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে এমনটি জানানো হয়। পরে বিষয়টির দায এড়াতে তড়িঘড়ি করে নিজের পকেটের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে সাতক্ষীরায় কিছু মালামাল কেনার জন্য যায়। বর্তমান বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন ভাউচারের বিনিময়ে স্টাম, ভ্যাট, আইটি, বাবদ ৫৮,৬৩১ বাদে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৫২ টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে টাকা কোথায় রেখেছে সে ব্যাপারে তাদের কোন জবাবদিহিতা নাই বলে জানান। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক গোপাল গাইনের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে টাকা এবং বরাদ্দের বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। টাকা কোথায় রেখেছেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর মেলেনি তবে পরে জানাবেন বলে জানান। প্রধান শিক্ষক গোপাল গাইন তার নিজ আইডিতে লিখেছেন “সরকারি কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেখাত প্রসঙ্গে কিছু সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তিগনের মিথ্যা তথ্য প্রচার প্রসঙ্গেঃ সরকারি কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ৭জুন প্রধান শিক্ষক জয়েন্ট করার কথা ছিল সে কারণে সেবাখাতে টাকা উত্তোলনে বিলম্ব হয় ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও মালামাল উত্তোলন ক্রয় বিলম্বিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা হতে প্রেরিত বিভিন্ন মাৱামাল অতিশীঘ্র আমাদের দপ্তরে পৌছাবে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ড্রেস মাপসহ কাপড়ক্রয় সম্পন্ন। এ প্রসঙ্গে অনেক সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিগত স্বার্থ হাচিলের নিমিত্তে কর্মচারীদের পোশাক বাবদ সরকারি সেবাখাতসহ অন্যান্য টাকা আত্মসাৎ সহ মিথ্যা বিভ্রান্ত মুলক তথ্য শিক্ষকমন্ডলী অর্থ আত্মসাৎ এ জাতীয় অবমাননাকর তথ্য সাংবাদিক হিসাবে পরিবেশন করা শিক্ষক সম্প্রদায় তথা জাতীর জন্য অবমাননাকর। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিবেন ও সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবেন”।