অগ্নিশিখা অনলাইন
- ১৬ মে, ২০২৪ / ৯৮ বার
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতার চৌমুহনীতে অবস্থিত শেরে বাংলা ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অসহায় সাধারণ রোগীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ঝোপ বুঝে কোপ মেরে বিভিন্ন সময় ভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মর্মাহত রোগীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জিম্মি করে আতঙ্কিত ছড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শাহিন আলম নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জেম পায়ের ফোঁড়ার চিকিৎসা নিতে গেলে হাঁটু কেটে বাদ দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্লিনিক মালিক সাইদুল ইসলাম সাঈদের বিরুদ্ধে ৬ লক্ষ্ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারার অভিযোগে
সাতক্ষীরা সিভিলে সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে
গত শুক্রবার সকালে (১০মে) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় শেরে বাংলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম দেবহাটা উপজেলার কামটা এলাকার মফিজুল মোল্লার ছেলে মোঃ শাহিন আলম
গত সোমবার (১৩মে)
সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের সূত্রে এবং ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম শাহিন আলম সাংবাদিকদের জানান সে তার পায়ে দীর্ঘদিন যাবত একটি ফোঁড়ার যন্ত্রণা নিয়ে ভুগছিল। ফোঁটার চিকিৎসার জন্য নলতার চৌমুহনীতে অবস্থিত শেরে বাংলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে ক্লিনিক মালিক সাইদুল ইসলাম ওরফে সাঈদ ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে পায়ের ফোঁড়ার ভিতরে পুজ হয়ে গেছে এখনই চিকিৎসা করতে গেলে এবং আপনাকে বাঁচাতে গেলে পা কেটে বাদ দিতে হবে। এজন্য অপারেশন বাবদ ৬/৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে।এ সময় ভুক্তভোগী এতো বেশি টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করে শেরে বাংলা ক্লিনিক থেকে চলে যেতে চাইলে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ফোঁড়া অপারেশনের করে দেওয়ার কথা বলেন। আমি সে টাকা ও দিতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি নিজে ডাক্তার না হয়েও একটি প্যাডে কিছু ওষুধ লিখে আমাকে তাড়িয়ে দেন।
পরবর্তীতে আমি দিশেহারা হয়ে কোন কুল কিনারা না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে শেষ আশ্রয় স্থল হিসাবে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখাই। সেখানে আমার পায়ের ক্ষত স্থানে ফোঁড়াটি কেটে ড্রেসিং করে দিয়ে ঔষধ দিয়ে দেয়।
আমি উক্ত ঔষধ খেয়ে ৩ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা করিতে পারিতেছি। আমি উক্ত বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক এইভাবে অপ চিকিৎসার নামে রোগীদের জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখি টাকা আদায় করা শেরে বাংলাক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের পরিচালক সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
উল্লেখ থাকে যে এই নলতার লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি শেরেবাংলা ক্লিনিকে গলার টনসিল অপারেশন করতে ভুলবশত শ্বাসনালী কেটে ফিরোজা বেগম নামে ৩ সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃত রোগীর কাগজপত্র গায়েব করে স্বজনদের ৫ লক্ষ টাকায় ম্যানেজ করে রাতারাতি তড়িঘড়ি করে পুলিশের ঝামেলা এড়াতে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটেছিলো গত শুক্রবার (১০ মে) রাত ২ টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় অবস্থিত শেরে বাংলা ক্লিনিক সেন্টারে।
নিহত ফিরোজা বেগম (৫০) কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের পাইকাড়া রহিমপুর গ্রামের খালপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী। মামলা, হামলার ঝামেলা এড়াতে সাতক্ষীরার
সদর থানার ব্যাংদহা গ্রামের আবুল কাশেম গাজীর পুত্র ক্লিনিক মালিক মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ নিজেকে প্রভাব বিস্তার করে উল্টো সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে তার ক্লিনিকে এই ধরনের কোন রোগী ভর্তি বা অপারেশন করার কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন এর নিকট যোগাযো