বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
হৃদয়ে রাসেল
মোঃ সামছুল আলম জিন্নাহ
ছোট শিশু, মায়াভরা ফুলের মত মুখ,
দেখলে তাঁকে ঘুচে যেত মনের যত দূখ।
সারা বাড়ি খেলার মাঠ তাঁর ব্যস্ত সারাক্ষণ,
খেলাধুলায় মেতে থাকত দূরন্তপনা মন।
তুলতুলে তাঁর নরম শরীর, মায়াভরা মুখ,
সদাহাস্যজ্বল দেখলে সে মুখ জুরিয়ে যেত বুক।
অনেক বড় হবে তুমি ভাবতেন বাবা মনে,
মনীষীদের গল্প বাবা বলতেন বুকে টেনে।
বাবার কথা ভাবতেন তিনি কত বড় হতে,
দেশকে ভালবেসে একদিন এগিয়ে নিতে হবে।
শৈশবেও তাই বাবার মতই ছিল বিশাল মন,
গরীব দূঃখী দেখলেই সেদিন ভাবতেন সারাক্ষণ।
টিফিনকরা টাকা নিয়ে যেতে স্কুল পথে,
দূস্হ মানুষ দেখলেই সেটা দিতেন তাদের হাতে।
ভাইবোনদের সবার মাঝে রাসেল ছিল ছোট,
আদর ভালবেসে সবাই মাথায় তুলে রাখত।
খেলাধূলা ছুটাছুটি ব্যস্ত থাকত মন,
খাবারবেলা বয়ে গেলেই খূঁজত বড় বোন।
রাতেরবেলা মায়ে যখন বন্ধ করত ডোর,
বড় আপু থাকত চেয়ে কখন হবে ভোর।
কান্নার শব্দ শুনলেই কাছে দৌড়ে গিয়েযেত,
আদরভালবাসা দিয়ে কোলে তুলে নিত।
বাবা বলতেনবড় বড় মনীষীদের গল্প ছিল যত,
তোমায় একদিন অনেক বড় হতে হবে তত।
লেখাপড়া করে তোমায় বড় হতে হবে,
দেশ ও জাতির উন্নয়নে এগিয়ে তুমি নিবে।
মনীষীদের গল্প বাবা বলতেন কাছে শুয়ে,
বাবার কথা শুনতেন সে গভীর আগ্রহে চেয়ে।
থাকলে বেচে রাসেল হয়তো বড় নেতা হত,
বিশ্বের কাছে দেশ ও জাতির সুনাম বয়ে আনত।
দেশ ও জাতির কল্যানে সে ছড়াত আলোর জ্যোতি,
দেশদ্রোহীদের মনের কাছে তাতেই ছিল ক্ষতি।
হঠাৎ একদিন কালো রাতে হায়না হানা দিল,
জলন্ত এক আলোকশিখা নিভিয়ে তারা দিল।
হত্যাকরে এ নাম যারা দিতে চেয়েছিল মুছে,
মৃত রাসেল বেচে আছে সবার অন্তরে মিশে।
না খাওয়া ও বঞ্চিতদের রাসেল প্রেরনা,
এ নাম হল অসহায়ত্বের উজ্জ্বল সম্ভবনা।
অন্ধকারে আলো ছড়াতে রাসেল যোগায় আশা,
রাসেল মানে প্রেরনায়ভরা বাংলা মায়ের ভাষা।
রাসেল মানে বাংলা মায়ের ভোর গগনের রবি,
লাল সবুজের পতাকায় দেখা বাংলা মায়ের ছবি।
রাসেল মানে ইতিহাস,স্বাধীন বাংলাদেশ,
এগিয়ে যাওয়া সোনার বাংলা, সম্ভাবনার নাই শেষ।
৷৷ ( অন্তরে রাসেল কবিতার অংশবিশেষ)