শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা:-
মোঃ কামাল পাঠান
“নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আওয়ামীলীগ নেত্রীর বাড়ি দখল নিলেন যুবদল নেতা” শিরোনামে মানবজমিন প্রত্রিকায় গত ১৪ই অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে প্রকাশিত সংবাদটি শতভাগ সঠিক নয়। বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমাকে ও আমার সংগঠনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার সাথে কোনো রকম বক্তব্য না নিয়ে, এক তরফা ভাবে উপজেলা মানবজমিন প্রত্রিকার প্রতিনিধি যুবলীগ নেতা সংবাদটি প্রকাশ করে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সরাইল উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগমের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম ক্ষমতা থাকা কালীন অসংখ্য অনিয়ম ও লুটতরাজারে অভিযোগ থাকলেও কোনো সংবাদ প্রকাশ করার সাহস পাইনি এবং সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম বিভিন্ন সময়ে ওনার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মামলা হামলা দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রাখত। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম ২০১২ইং সালে ৩৪২ নং দলিলে ৬০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোড় পূর্বক ভাবে ১২২ শতাংশ জায়গা জবরদখল করে ভোগ করে আসছে। ১২২ শতক বাড়ি ও পুকুরের অন্দরে আমি শেখ মোঃ আতাউর রহমান ৩৫৪৯ নং দলিল মূলে ৬২ শতাংশ জায়গার মালিক। যাহা এতোদিন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দখলে ছিল, আমি আমার ক্রয়কৃত জায়গার দখল প্রকৃত মালিক পক্ষের কাছ থেকে জায়গা বুঝে নিতে যাওয়ায়, সে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে।
আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে। আমি এ জায়গার বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করছি :-
১৯৭০ইং সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জয়েন্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৬৩৮০ নং দলিল মূলে আব্দুল জাহের ও আমেনা বেগম যৌথ মালিক হন। পরবর্তীতে আব্দুল জাহের মৃত্যুবরণ করিলে তাহার স্ত্রী আমেনা বেগম ও চার কন্যা (১) রোকেয়া বেগম, (২) সুফিয়া বেগম, (৩) রেখা বেগম, (৪) জোহরা বেগম, ৬৭৩ ও ২৮৮৭ নং বিএস খতিয়ানে ১২২ শতাংশ জায়গার মালিক হন। ৪ই মে ১৯৯৪ইং সনে ১৬২৬ ও ১৬২৭ নং দলিলে কুট্টাপাড়া গ্রামের রোকেয়া গং দের চাচাতো ভাই সামসুল হক ও চাচাতো বোন আনোয়ারা বেগম এর নিকট (৪+৪) = ৮ শতাংশ জায়গা ১২২ শতাংশের অন্দরে বিক্রি করে গোপন রেখে বিগত ১১ই জুন ১৯৯৬ সনে ১৪০৭ ও ১৪০৮ নং দলিলে সুলতান, জিন্না ও মমতাজ নামের তিন ভাইয়ের নিকট ১২২ শতাংশ জায়গা বিক্রি করে নিঃসত্ববান হন রোকেয়া গং । ২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ ইং সনে সুলতান ও জিন্না তাদের দুই ভাইয়ের অংশ হইতে ৬০ শতাংশ জায়গা ৫৫৩ নং দলিল মূলে বিক্রি করেন আনোয়ার মিয়ার নিকট এবং সুলতান, জ্জিনা ও মমতাজের নিকট ৬২ শতাংশ থেকে যায়।
আনোয়ার মিয়া ৬০ শতাংশ জায়গার দখল নিতে গেলে রোকেয়া গং ১৯৯৪ সালের গোপন রাখা বিক্রীত ১৬২৬ ও ১৬২৭নং দলিল বের করে চাচাতো ভাই ও বোনের পক্ষ নিয়ে ০৮ শতাংশ জায়গা দখল করে। পরবর্তীতে আনোয়ার মিয়া রোকেয়ার ক্ষমতার কাছে পরাস্থ হয়ে ২০১২ সালে আনোয়ার মিয়া ৩৪২ নং দলিলে রোকেয়ার নিকট ৬০ শতাংশ জায়গা বিক্রি করেন। ২০১২ সালে রোকেয়া বেগম ৬০ শতাংশ জায়গার মালিক হয়ে জোর পূর্বক ভাবে সুলতান, জিন্না ও মমতাজের অবিক্রীত ৬২ শতাংশ জায়গা জবর দখল করে এবং পুলিশ ও মামলা হামলা দিয়ে ওদের এলাকাছাড়া করে।
পরবর্তীতে সুলতান, জিন্না ও মমতাজ তাদের ৬২ শতাংশ জায়গা বিগত ১২ই মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে ১৪৯৩ নং দলিলে তাদের ছোট বোন নাছিমা বেগমের নিকট অপ্রত্যাহার যোগ্য পূর্ণমূল্যে পাওয়ার অব অ্যাটোর্নি প্রদান করেন। নাছিমা বেগম থেকে ক্রয় করে ৫ই মে ২০২৫ইং সনে ৩৫৪৯ নং দলিল মূলে আমি শেখ মোঃ আতাউর রহমান মালিক হয়। আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখল নিতে যাওয়ায় আমার নামে যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে ও আমার সংগঠন কে হেয় করার ফলে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।