শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ শীতকাল অনেকেরই একটি প্রিয় ঋতু। শহরে সেভাবে এখনও শীতের আগমণ না ঘটলেও গ্রামের দিকে ভোর বেলা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে যেমন লেবু শরবত উপকারী ঠিক তেমন শীতের দিনেও শরীর গরম রাখতে পারে বিশেষ কিছু খাবার। এসব খাবার শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই সময়ে কোন কোন খাবার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে।
গবেষণা বলছে, শীতের সময়ে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খাঁটি ঘি। রুটি বা ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণ ঘি খেলে এই কনকনে শীতে শরীর গরম হবে । তবে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘি খাওয়া উচিত।
১. ঘিঃ স্নেহজাতীয় খাদ্যের উৎস হিসেবে ঘিকে সবচেয়ে আদর্শ খাবার বলা যায়। ঘিতে বিদ্যমান ফ্যাটি অ্যাসিডগুলোকে যকৃৎ শোষণ করে এবং শরীরে তাপ ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই শীতকালে প্রতিদিনের খাবারে সামান্য পরিমাণে ঘি যোগ করতে পারেন। এতে শীতে শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়ও ঘি ভূমিকা রাখে।
২. আদা, মধু ও তুলসীঃ রোগব্যাধি দূরে রাখতে ও স্বাস্থ্যের যত্নে ঘরে বানানো হারবাল চায়ের জুড়ি নেই। শীতের সকালগুলোতে বানিয়ে ফেলতে পারেন আদা, তুলসী ও মধু দিয়ে চা। আদা শরীরে তাপ উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি একটি ডায়াফোরেটিক খাবার, যা দেহকে ভেতর থেকে উষ্ণতা জোগায়। অপর দিকে সর্দি–কাশির মতো রোগের প্রতিরোধ ও নিরাময়ে মধু ও তুলসীপাতা দারুণ কাজে দেয়। তাই ঘরোয়া টোটকা হিসেবে শীতকালীন রোগবালাই থেকে বাঁচতে চা-পাতার সঙ্গে আদা ও তুলসীপাতা ফুটিয়ে নিয়ে তাতে মধু যোগ করে পান করুন।
৩. বাদামঃ আখরোট, পেস্তা, কাঠবাদাম ও কাজুবাদামের মতো বিভিন্ন বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। বাদাম শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মুঠোভর্তি বাদাম যোগ করতে পারেন। আলাদা বাটিতে এক মুঠো বাদাম নিয়ে খাওয়াই শ্রেয়। এতে অতিরিক্ত খাওয়া হবে না। বাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। তাই বাজার থেকে সল্টেড বা ক্যান্ডি করা বাদামের বদলে কাঁচা বাদাম কিনে বাড়িতে রোস্ট করে খাওয়াটাই ভালো।
৪. স্যুপঃ দেশ–বিদেশে শীতকালীন খাবার হিসেবে স্যুপ বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শীতকালে বাদাম বা ঘি–জাতীয় খাবার নিজের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই ঠান্ডায় স্যুপ আদর্শ একটি খাবার। বিভিন্ন সবজি, ডাল, বার্লি ও প্রোটিন যোগ করে স্যুপ বানালে তা পেট ভরতে সাহায্য করবে আবার পুষ্টিও দেবে।
৫. মসলাঃ আমাদের রান্নাঘরে থাকা মসলাগুলো শুধু খাবারের স্বাদই বৃদ্ধি করে না, শরীরে তাপের ভারসাম্যও রক্ষা করে। তাই শীতকালে মসলাদার খাবার খেতে পারেন। কিছু মসলা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে, যেমন আদা, জিরা, দারুচিনি, গোলমরিচ, তিল ইত্যাদি।
৬. মাটির নিচের সবজিঃ শীতকালে গাজর, মুলা, শালগম ও বিটের মতো মাটির নিচে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। মৌসুমি সবজি হিসেবে ঘরে ঘরে এদের কদরও রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই সবজিগুলো এমন দিনে শরীরে তাপ ও শক্তি জোগায়।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন