খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ : ভিসি এমপি আ.লীগ নেতাদের স্বজনপ্রীতি
- Update Time : 07:04:41 am, Sunday, 6 October 2024
- / 241 Time View
মোঃ নাসির উদ্দীন গাজী,খুলনা বিভাগের বূরো চিফঃ সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলের। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামানের জন্য সুপারিশ ছিল খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকবর টিপুর। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট টিপু মিত্রের জন্য সুপারিশ ছিল খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্রের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. দীন-উল-ইসলাম বলেন, ‘সাবেক রেজিস্ট্রারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম স্বাভাবিক করার জন্য রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য প্রস্তাব দিলে তা সিন্ডিকেট অনুমোদন করে। একইভাবে উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) না থাকার কারণে বেতনবিষয়ক জটিলতা থাকায় এ পদের নিয়োগেও অনুমোদন করা হয়। এর বাইরে যেসব পদে পরীক্ষা হয়েছিল সেসব নিয়োগ পর্যায়ক্রমে দেওয়ার পরামর্শ দেয় সিন্ডিকেট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত যাদের নিয়োগ হয়েছে তাদের বেশিরভাগই খুলনার বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের সদস্য কিংবা তাদের সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত। এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মো. দীন-উল-ইসলাম বলেন, ‘অনিয়মের মাধ্যমে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এরকম কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলনার বলে এ অঞ্চলের প্রার্থীরা বেশি হতে পারেন, কিন্তু তাদের নিয়োগে বিশেষ কারও তদবির থাকার কথা নয়।
এর আগে ২০২২ সালের ৪ আগস্ট প্রথমবারের মতো ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। তখন যাদের চাকরি হয় তাদের মধ্যে ছিলেন সেকশন অফিসার শেখ আশিক আহম্মেদ কাইয়ুম; তিনি সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলের বড় শ্যালিকার ছেলে। জুয়েলের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় অনিক ইসলামের চাকরিও তখন হয়েছিল। সহকারী প্রোগ্রামার মোস্তফা রাকিব রায়হান ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপুর ভাগ্নে।
















