শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
এম এ অন্তর হাওলাদারঃ বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে এক নিষ্ঠুর সন্তান। বর্তমানে ওই বৃদ্ধ পরের ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন। খাচ্ছেন প্রতিবেশীর বাড়িতে। এভাবেই গত ২ মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধ বাবা
এ ঘটনা ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডে হতভাগা ওই বৃদ্ধ বাবার নাম আবুল কালাম ওরপে কলম মাল
সত্তরের বেশি বয়সী আবুল কালামের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। এর মধ্যে দুই মেয়ে বিধবা আর অন্য মেয়ে শশুর বাড়ি।এক ছেলে ঘর ছাড়া হয়ে শশুর বাড়িতে অন্য ছেলে বাড়ি দখল করে আছে।
এর মধ্যে বৃদ্ধ মা আম্বিয়া বেগম বাদি হয়ে ছেলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে কোটে মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার ২ ছেলের এক ছেলে ঘরে থাকতে না পারায় শশুর বাড়িতে থাকেন। আরেক ছেলে মাইজ ভান্ডার শরীফের সাথে যুক্ত হয়ে ঘরের মেঝেতে আগর বাতি মোম জ্বালিয়ে জিকির করেন সোনার কলস পাওয়ার আশায়।
বৃদ্ধ বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘ছেলে মাইজভান্ডারি করে ‘ ঘরের মেঝেতে আগর বাতি মোম জ্বালিয়ে সোনার কলসের আশায় জিকির করে, আমার কাছে খালি টাকা চায় আমি গরীব মানুষ টাকা কোই পামু। কিছু বললেই শুধু মারে। ওর মাকে চেয়ার দিয়ে পিটায়া চেয়ার ভেঙে ফেলছে, আমারে দা, লোহার রড দিয়ে দৌড়ান দেয়। টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে থাকছি। খাচ্ছিও পরের বাড়িতে।
তিনি আরো বলেন আমার ভাতিজা দুলাল ও তার স্ত্রী সেলিনা যুক্তি দিয়ে আমার ছেলেকে দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, আমার ছেলেকে সামনে রেখে আমার ৪ টি বড়ো রেনডি গাছ বিক্রি করে সে নিজে নিয়ে যায়, আমার ঘরের পাটাতন, খাট, লাকরী, এসব বিক্রি করে ফেলে আমার ভাতিজা দুলালের কুপরামর্শে। আমি আমার ছেলেকে জেলে দিলে ৩ দিনের মাথায় আমার স্ত্রী কে তুলে নিয়ে আমার ভাতিজা তাকে নিজ খরছে জামিন করান। কোন স্বার্থে আমার ভাতিজা দুলাল আমার ছেলেকে নিজ খরছে জামিন করালো।
অভিযুক্ত ছেলে রুহুল আমিন ও ভাতিজা দুলাল কে তার বাসায় গিয়ে পাওয়া যায় নি সাংবাদিক এসেছে এমন সংবাদে তারা বাড়ি থেকে সরে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের স্ত্রী ঝুমুর বলেন,আমার স্বামী এগুলো করে আমি কিছু বলিলে আমার দিকে তেরে আসে। জেল থেকে এসে বলে আমি ভালো হয়ে গেছি আমি ঢাকা চলে যাবো আমি আর কাউকে মারবো না।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি থানায় নতুন এসেছি এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।