শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
মিলন মন্ডল,পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই জলাতঙ্কের টিকা। এতে চিকিৎসাসেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।
সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা হলেও সেখানে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। বাধ্য হয়ে কুকুর বিড়াল কামড়ানো রোগীদের ছুটতে হচ্ছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে। পলাশবাড়ী পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা সাংবাদিক হাসিবুর রহমান স্বপন বলেন,আজ ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর একটায় আমার দু বছরের ছোট মেয়েকে বিড়াল কামড় দিলে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাই বিড়াল কামরের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য কিন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক ভ্যাকসিন নাই মর্মে আমাকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাহির হতে কিনে নেয়ার পরামর্শ দেন, এছাড়াও জনাব স্বপন হতাশার সুরে অভিযোগ করে বলেন দ্বায়িত্বরত একজন ডাক্তারকে রুগীকে যে ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা দরকার তেমনটা পাননি বলে তিনি জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের টিকা না থাকায় এতে করে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। কুকুর/বিড়াল কামড়ানো গ্রামের রোগীরা না বুঝেই অনেক সময় কবিরাজের শরণাপন্ন হন। এতে করে জলাতঙ্কে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুঝুঁকিও বেরে যায়।
এছাড়াও উপজেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে আসলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা রকম হয়রানির শিকার হওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
জলাতঙ্কের প্রতিষেধক না থাকায় রোগীদের কে বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতালে অথবা চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে বাহির হতে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোঃ আনিছুর রহমান বলেন একাধিক বার চাহিদা পত্র দেয়ার পরেও সরবরাহ না থাকায় রুগীদের কে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে অথবা বাহির হতে কিনে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।