সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

গরমে তালের পানি চাহিদা বেড়েছে

“পানি তাল খাইয়া শরীরডা ঠান্ডা কইরা যায় সবাই”। “পানি তাল খাইয়া শরীরডা ঠান্ডা কইরা যায় সবাই”।

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা: পানি তাল খাইয়া শরীরডা ঠান্ডা কইরা যায় সবাই ।কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দেশী তাজা পানিতালে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন চলাচলকারীরা।

গরম বাড়ায় মোগো পানি তাল বিক্রি বাড়ছে,গরমে এইডা খাইলে কইলজাডা ঠান্ডা হয়,শরীরডা ঠান্ডা হইয়া যায়,তাই আসা যাওয়ায় গাড়ী থামাইয়া পানিতাল খাইয়া যায় লোকজন  কথা গুলি বলছিলেন কুয়াকাটা-পটুয়াখালী -ঢাকা মহাসড়কের পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের
গাবুয়ার দত্তের ব্রীজ এলাকায় রাস্তা পাশে ভ্যানে করে দেশী ফল পানিতাল বিক্রেতা মো: সিদ্দিক হাওলাদার। কথা বলছিলেন সিদ্দিক হাওলাদার আর হাতে থাকা দা দিয়ে কচি পানি তাল কেটে তার শাসের মুখ বের করে ক্রেতাদের হাতে এগিয়ে দিচ্ছিলেন যত্ন সহকারে। বিভিন্ন সময় বিশেষ করে ডাব,পানিতাল,পেয়ারা,জাম্বুরা সহ
বিভিন্ন দেশী ফল আশে পাশের বিভিন্ন বাড়ী থেকে পেড়ে এনে সড়াসড়ি বিক্রি করে থাকেন তিনি এবং তার ভাই।

প্রচন্ড গরমে এই মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহ ছাড়াও কুয়াকাটায় পিকনিকে পর্যটকবাহী গাড়ী সহ অধিকাংশ মাইক্রোবাসে আসা -যাওয়া করা লোকজন তাদের ক্রেতা বলে জানান তিনি। কথা হয় অটো রিক্স্রা যাত্রী রাসেলের সাথে তিনি জানান অটোতে করে লেবুখালী থেকে পটুয়াখালী যাচ্ছেন পথে রৌদ্রের প্রচন্ড তাপে কাহিল হয়ে গেছেন তিনি সহ তার সহযাত্রী বন্ধুরা তাই পথে অটো থামিয়ে তারা পানি
তাল খাচ্ছেন। প্রচন্ড এই গরমের কারনে শরীরের মধ্যে যে ক্লান্তি ভাবটা চলে আসছিল ,কচি পানি তালের শাস খাওয়ার পরে এখন ক্লান্তিটা দূর হয়ে গেছে।

সিদ্দিক হাওলাদার আরোও জানান,গরমের শুরুতে প্রতিদিন দেড় থেকে দ্’ুশ তাল বিক্রি হলেও এখন গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে গত কয়েকদিন পর্যন্ত এখন তিন শো পর্যন্ত তাল বিক্রী হচ্ছে তবে তিনি জানান,তালের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তিনি তালের দাম বাড়াননি প্রতি শাস ৫ টাকা করে তাতে তাল ভেদে ১০ থেকে
১৫ টাকায় ক্রেতা তাল কিনে শরীর ঠান্ডা করতে পারছেন।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com