মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন
মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরোচীফ চট্রগ্রামঃ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘সীমান্তের বিষয়টিতে বিজিবি কাজ করছে। আমরা (পুলিশ) বিজিবির সঙ্গে কাজ করছি। আইনানুগভাবে বিজিবি আমাদের কাছে সব সহযোগিতা পাবে।’
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্তকেন্দ্র উদ্ভোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কেউ আপরাধ করলেও তাকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। এমনকি চুরি হওয়া স্বর্ণের ৭০ শতাংশ আমরা উদ্ধার করেছি। পুলিশ শক্তি, আন্তরিকতা ও পেশাদারত্ব নিয়ে মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। তবুও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্দর আছে। সেজন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে। শুধু বন্দরের নিরাপত্তা করবে তা না, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ-তদন্তকেন্দ্র ও নৌ পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।’
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এমন ঘটনা হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহের সুরতহাল করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, ময়নাতদন্ত ও তদন্তের ভিত্তিতে যেসব তথ্য উঠে আসে সেটি নিয়ে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সামনেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত বন্দর চ্যানেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ-তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানায়। পরে ২০০২ সালে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙাদিয়া, নগরীর চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গায় দুটি করে চারটি নৌ-তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৩ সালে নৌ-পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি তদন্তকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ডাঙ্গারচরে নদীর পাশে জায়গা বরাদ্দ দেয়। সেখানে দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করবে সিএমপি। নৌ-তদন্তকেন্দ্র তাদের আওতায় থাকা এলাকায় টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।