নিজস্ব সংবাদদাতা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল বিআরডিবির নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। সরাইল বিআরডিবির পরিদর্শক মেনহাজ উদ্দিন ঠাকুর অলক এর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা যায়। সমবায় বিধিমালা ও অনিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া ভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন,বদলি হওয়া কর্মকর্তাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা, ৬০দিনের স্থলে ৫৮ দিন আগে নোটিশ প্রদান,অবৈধ ঘোষিত সমতিকে মাত্র তিন চার মাস পরই বৈধতা প্রদান, কিস্তি/ ঋণ খেলাপি সমতিকে তালিকাভুক্ত, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কয়েকটি সমতির রেজিস্ট্রার কাগজপত্র গায়েব,স্বাক্ষর ও সিল নকল,এখানেই শেষ নই এই এলক ঠাকুর হচ্ছে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক তাই সাধারণ ভোটাররা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে অলক ঠাকুরের সাথে বারবার অফিসে গিয়ে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মোবাইল ফোনে শত চেষ্টার ফলে পাওয়া গেলেও সে সাংবাদিকদের কিছুই বলতে রাজি নই।
মামলা ও সমবায় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১০ নভেম্বর সরাইল বিআরডিবির ব্যবস্থাপনা পরিষের নির্বাচন। কমিটির ৮ টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সদস্য পদেনির্বাচন হবে। বাকি ৪
পদে বিনা প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছে। পরে চারজন কর্মকর্তা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনার শুরু থেকেই নানা ও নিয়মের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন আহমদ আলী নামের একজন সমবায়ী। তার বাড়ি সরাইল কুট্টাপাড়া,তিনি উত্তর কুট্টাপাড়া কৃষক সমবায় সমিতির সদস্য।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির রেজুলেশনে উল্লেখিত ও সরাইল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ( সদস্য সচিব ) কর্তৃক সুপারিশকৃত পত্রের স্বাক্ষর নম্বর (৪৫৯)ও তারিখ (১৭,০৯,২০২৫খ্রি) ঠিক রেখে পুরো পরিচালনা কমিটির পরিবর্তন করে ফেলেছেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উদ্দিন নিয়মানুসারে পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার কথা। কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ আজিজুল হক কে সভাপতি নির্বাচন করেছেন।
পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম খন্দকার কে উপজেলা থেকে গত চার আগস্ট যুগ্ন নিবন্ধন স্বাক্ষরিত পত্রে কুমিল্লা জেলা সমবায় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
শেয়ার মূলধনভুক্ত সমতিগুলোকে নোটিশ দেওয়ার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। মামলায় সরাইল বিআরডিবির পরিদর্শক মেনহাজউদ্দিন ঠাকুর অলকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতে সমতির রেজিস্টার সহ অন্যান্য কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগ করেছে সমবায় আহমেদ আলী ও রাহাত হোসেন।
তারা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছে। এ মামলায় পরিচালনা কমিটির ৩ সদস্য, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অন্যান্য কর্মকর্তা সহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ সরাইল সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, রায়হান উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম খন্দকার, সদস্য সচিব (সরাইল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার) মোহাম্মদ মাসুদ রানাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।