রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
সাহাব উদ্দীন বিশেষ প্রতিবেদকঃ-
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে তারা সকলেই একসাথে বসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রার্থীতা বাতিলের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা। তাদের মধ্যে আশা বাদে সকলেই নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রত্যাশী ছিলেন।
অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছি। আগামী নির্বাচন হবে অনেক কঠিন। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তৃণমূল সহ অনেকেই নির্যাতিত। এসব তৃণমূলকে মূল্যায়িত করা না হলে রাজনীতি কঠিন পর্যায়ে চলে যাবে। পরীক্ষিত প্রার্থী না হলে এখানে জয় পাওয়াটা কষ্টকর।
আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে যারা বিএনপির জন্য কাজ করেছেন তাদের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমন একজনকে দেওয়া হয়েছে যাকে কেউ চিনে না। তিনি অপরিচিত। এ আসনের মানুষ অপরিচিত মানুষকে ভোট দিবে না।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যাকে বিএনপির মনোনীত ঘোষণা করা হয়েছে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে ছিলেন না। তাঁর নাম ঘোষণার পর তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সকলে ক্ষুব্ধ। যেখানেই যাচ্ছি সকলে বলছেন এ প্রার্থীকে তো আমরা চিনি না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমরা দলের নীতি নির্ধারকের কাছে হাতজোড় করে বলছি আপনারা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ও বিএনপিকে বাঁচান। আমরা চাই দলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হোক।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, দল আমার উপর আস্থা রেখে এবং যাচাই বাছাই করেই মনোনয়ন দিয়েছে। আমি দলের দিকে তাকিয়ে আছি। দলই আমার বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিবে। তারা তাদের মতামত জানিয়েছে। তাদের সবার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আমি সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।