Dhaka 5:01 pm, Wednesday, 26 November 2025

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবেঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Reporter Name
  • Update Time : 10:54:45 am, Monday, 23 December 2024
  • / 138 Time View

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় যারা জুতার মালা পড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা সবাই দুষ্কৃতকারী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবদুল হাই কানু শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নিজ এলাকা লুধিয়ারায় ফিরলে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ১০-১২ জন তাকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছাড়া করার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরানোর ঘটনাটি রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় আবুল হাসেমসহ কয়েকজন তাকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলতে দেখা যায় ভিডিওতে। এ সময় তাকে গ্রামবাসীর কাছে একে একে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও বলতে শোনা যায় ভাইরাল ভিডিওতে।

জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। বাতিসা ইউনিয়নের লুধিয়ারা এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ছিল তার ভালো সম্পর্ক। সে সময় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণে এলাকায় থাকতে পারেননি। হত্যা মামলায় আসামিও হন। তৎকালীন সময়ে এক জামায়াত নেতাকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ নিন্দা জানানো হয়।

এদিকে এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘রাতে ফেসবুকে আমি এ ধরনের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

10

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবেঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Update Time : 10:54:45 am, Monday, 23 December 2024

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় যারা জুতার মালা পড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা সবাই দুষ্কৃতকারী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবদুল হাই কানু শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নিজ এলাকা লুধিয়ারায় ফিরলে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ১০-১২ জন তাকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছাড়া করার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরানোর ঘটনাটি রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় আবুল হাসেমসহ কয়েকজন তাকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলতে দেখা যায় ভিডিওতে। এ সময় তাকে গ্রামবাসীর কাছে একে একে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও বলতে শোনা যায় ভাইরাল ভিডিওতে।

জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। বাতিসা ইউনিয়নের লুধিয়ারা এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ছিল তার ভালো সম্পর্ক। সে সময় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণে এলাকায় থাকতে পারেননি। হত্যা মামলায় আসামিও হন। তৎকালীন সময়ে এক জামায়াত নেতাকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ নিন্দা জানানো হয়।

এদিকে এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘রাতে ফেসবুকে আমি এ ধরনের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।