Dhaka 4:48 pm, Wednesday, 26 November 2025

৬৫৩ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছাড়ল জাহাজ

Reporter Name
  • Update Time : 06:27:07 am, Sunday, 1 December 2024
  • / 152 Time View

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ অবশেষে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ‘বার আউলিয়া’ নামক জাহাজটি।

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে চলাচলের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটি ছেড়ে যায়নি। এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০ টিম। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য তিনটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাই করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে ১০ কর্মকর্তার নেতৃত্বে টিমগুলো গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, জাহাজে পর্যটকদের বিনামূল্যে পাটের তৈরি ব্যাগ দেওয়া হবে। যাতে কোনো পর্যটক পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পরিবহন না করেন। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকমুক্ত করার চেষ্টা করছে সরকার।

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কোনো পর্যটককে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক নিয়ে জাহাজে উঠতে দেওয়া হবে না।

প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

10

৬৫৩ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছাড়ল জাহাজ

Update Time : 06:27:07 am, Sunday, 1 December 2024

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ অবশেষে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ‘বার আউলিয়া’ নামক জাহাজটি।

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে চলাচলের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটি ছেড়ে যায়নি। এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০ টিম। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য তিনটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাই করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে ১০ কর্মকর্তার নেতৃত্বে টিমগুলো গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, জাহাজে পর্যটকদের বিনামূল্যে পাটের তৈরি ব্যাগ দেওয়া হবে। যাতে কোনো পর্যটক পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পরিবহন না করেন। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকমুক্ত করার চেষ্টা করছে সরকার।

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কোনো পর্যটককে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক নিয়ে জাহাজে উঠতে দেওয়া হবে না।

প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।