Dhaka 11:13 pm, Friday, 21 November 2025

যে রক্ত অপবিত্র নয়

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:52:53 pm, Tuesday, 12 November 2024
  • 232 Time View

ইসলাম ডেস্কঃ পবিত্র ও অপবিত্র হওয়ার দিক থেকে রক্ত দুই প্রকার। এক প্রকার রক্ত হলো প্রবাহিত রক্ত, যা পশুপাখি জবাইয়ের সময় নির্গত হয় কিংবা মানুষ বা জীবিত পশুপাখির শরীরের কোনো অংশ কেটে যাওয়ার কারণে বের হয় এবং তা গড়িয়ে পড়ার পরিমাণ হয়। এই প্রকারের রক্ত হারাম ও অপবিত্র।

দ্বিতীয় প্রকার হলো মানুষ বা পশুপাখির শরীর থেকে নির্গত সামান্য রক্ত, যা গড়িয়ে পড়া পরিমাণ নয় এবং পশুপাখি জবাইয়ের পর এর গোশত ও শিরায় যে রক্ত থাকে। এগুলো প্রবাহিত রক্ত নয় তাই হারাম ও অপবিত্রও নয়।

তাই পশুপাখির গোশতে লেগে থাকা রক্ত লাগলে শরীর বা পোশাক নাপাক হবে না। বাজার থেকে গোশত কিনে আনার পর বা ফ্রিজ থেকে নামানোর পর তা ধোয়া হলে সাধারণত পানি লাল হয়ে যায়। ওই পানিও নাপাক নয় এবং ওই পানি লাগলে শরীর ও কাপড় নাপাক হবে না।

অজু ভঙ্গের কারণসমূহের মধ্যে একটি হলো, শরীর থেকে প্রবাহিত রক্ত বের হওয়া। কোনো কারণে শরীরের যে কোনো জায়গা থেকে যদি রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে অথবা গড়িয়ে পড়বে এই পরিমাণ তরল রক্ত বের হয়, তাহলে অজু ভেঙে যায়।

এই প্রবাহিত তরল রক্ত অপবিত্র এবং তা লাগলে শরীর ও পোশাক অপবিত্র হয়ে যাবে।

শরীর কেটে সামান্য রক্ত বের হলে অর্থাৎ গড়িয়ে পড়বে না এই পরিমাণ রক্ত বের হলে অজু ভাঙবে না এবং ওই রক্ত অপবিত্রও নয়।

তবে এ ধরনের রক্ত বা ওপরে উল্লিখিত গোশত ধোয়া পানি লাগলে শরীর-পোশাক অপবিত্র না হলেও অপরিচ্ছন্ন হয়। নামাজে পবিত্রতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাও কাম্য। তাই এ রকম রক্ত বা পানি শরীর বা পোশাকে লাগলে যথাসম্ভব তা ধুয়ে পরিষ্কার করেই নামাজ পড়া উচিত।

 

সূত্রঃ জাগোনিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mottakim Ahmed

Popular Post

যে রক্ত অপবিত্র নয়

Update Time : 01:52:53 pm, Tuesday, 12 November 2024

ইসলাম ডেস্কঃ পবিত্র ও অপবিত্র হওয়ার দিক থেকে রক্ত দুই প্রকার। এক প্রকার রক্ত হলো প্রবাহিত রক্ত, যা পশুপাখি জবাইয়ের সময় নির্গত হয় কিংবা মানুষ বা জীবিত পশুপাখির শরীরের কোনো অংশ কেটে যাওয়ার কারণে বের হয় এবং তা গড়িয়ে পড়ার পরিমাণ হয়। এই প্রকারের রক্ত হারাম ও অপবিত্র।

দ্বিতীয় প্রকার হলো মানুষ বা পশুপাখির শরীর থেকে নির্গত সামান্য রক্ত, যা গড়িয়ে পড়া পরিমাণ নয় এবং পশুপাখি জবাইয়ের পর এর গোশত ও শিরায় যে রক্ত থাকে। এগুলো প্রবাহিত রক্ত নয় তাই হারাম ও অপবিত্রও নয়।

তাই পশুপাখির গোশতে লেগে থাকা রক্ত লাগলে শরীর বা পোশাক নাপাক হবে না। বাজার থেকে গোশত কিনে আনার পর বা ফ্রিজ থেকে নামানোর পর তা ধোয়া হলে সাধারণত পানি লাল হয়ে যায়। ওই পানিও নাপাক নয় এবং ওই পানি লাগলে শরীর ও কাপড় নাপাক হবে না।

অজু ভঙ্গের কারণসমূহের মধ্যে একটি হলো, শরীর থেকে প্রবাহিত রক্ত বের হওয়া। কোনো কারণে শরীরের যে কোনো জায়গা থেকে যদি রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে অথবা গড়িয়ে পড়বে এই পরিমাণ তরল রক্ত বের হয়, তাহলে অজু ভেঙে যায়।

এই প্রবাহিত তরল রক্ত অপবিত্র এবং তা লাগলে শরীর ও পোশাক অপবিত্র হয়ে যাবে।

শরীর কেটে সামান্য রক্ত বের হলে অর্থাৎ গড়িয়ে পড়বে না এই পরিমাণ রক্ত বের হলে অজু ভাঙবে না এবং ওই রক্ত অপবিত্রও নয়।

তবে এ ধরনের রক্ত বা ওপরে উল্লিখিত গোশত ধোয়া পানি লাগলে শরীর-পোশাক অপবিত্র না হলেও অপরিচ্ছন্ন হয়। নামাজে পবিত্রতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাও কাম্য। তাই এ রকম রক্ত বা পানি শরীর বা পোশাকে লাগলে যথাসম্ভব তা ধুয়ে পরিষ্কার করেই নামাজ পড়া উচিত।

 

সূত্রঃ জাগোনিউজ