Dhaka 4:17 pm, Wednesday, 26 November 2025

চব্বিশের আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা: সোহেল তাজ

Reporter Name
  • Update Time : 01:00:20 pm, Sunday, 3 November 2024
  • / 179 Time View

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ ২০২৪ সালের আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাথা বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে পদযাত্রা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,‌ মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার অবদান-আত্মত্যাগ বইপুস্তকে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে ২৪-এর আন্দোলনও তুলে ধরতে হবে।

আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান সোহেল তাজ বলেন, যেই দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দল ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। একক কারো নেতৃত্বে হয়নি। অথচ দলটি মুক্তিযুদ্ধকে নিজের পক্ষে ইতিহাস বানিয়ে নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি আওয়ামী লীগের আমলে।

সোহেল তাজ বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন,‌ দেখতে দেখতে জেল হত্যা দিবসের ৪৯ বছর পার হয়ে গেল। অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

এরপর প্রধান উপদেষ্টার কাছে তিন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন‌ সোহেল তাজ। তিন দফার মধ্যে রয়েছে—

* ১০ এপ্রিল ১৯৭১ যেহেতু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা।

* ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

* জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

10

চব্বিশের আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা: সোহেল তাজ

Update Time : 01:00:20 pm, Sunday, 3 November 2024

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ ২০২৪ সালের আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাথা বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে পদযাত্রা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,‌ মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার অবদান-আত্মত্যাগ বইপুস্তকে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে ২৪-এর আন্দোলনও তুলে ধরতে হবে।

আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান সোহেল তাজ বলেন, যেই দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দল ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। একক কারো নেতৃত্বে হয়নি। অথচ দলটি মুক্তিযুদ্ধকে নিজের পক্ষে ইতিহাস বানিয়ে নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি আওয়ামী লীগের আমলে।

সোহেল তাজ বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন,‌ দেখতে দেখতে জেল হত্যা দিবসের ৪৯ বছর পার হয়ে গেল। অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

এরপর প্রধান উপদেষ্টার কাছে তিন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন‌ সোহেল তাজ। তিন দফার মধ্যে রয়েছে—

* ১০ এপ্রিল ১৯৭১ যেহেতু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা।

* ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

* জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।