Dhaka 4:59 pm, Tuesday, 25 November 2025

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, যা বললেন জনপ্রশাসন সচিব

Reporter Name
  • Update Time : 08:50:18 am, Wednesday, 18 September 2024
  • / 231 Time View
১২

অগ্নিশিথা প্রতিবেদকঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে ও নিরাপদ বোধ করে সেই জন্য সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব এ কথা বলেন।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সব পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে আস্থা থাকে- এজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনী একইসঙ্গে একই ছাতার নিচে কাজ করছে, এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করেছে বিস্তৃত পর্যায়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। তারা মনে করেছে, এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া) হলে পারপাস অব দ্য গভর্নমেন্ট সিকিউরড দ্য সিটিজেন। উই আর সারভিং ফর দ্য স্টেট (আমরা দেশের সেবা করছি)। এই মুহূর্তে মনে হয়েছে এটা দরকার। টার্গেট (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ার সময়) বলে দেওয়া হয়েছে, মাত্র ৬০ দিন।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আছে, এক্ষেত্রে কোন দ্বন্দ্ব তৈরি করবে কিনা- এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এটা কোন ক্যাডারের ক্ষমতা না, এটা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। কোন দ্বন্দ্ব হবে না। এক রাষ্ট্র এক জনগণ এক সরকার। জনস্বার্থে আপনি কাজ করেন, আমি কাজ করি। এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া) ভালো ফল দেবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারাদেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

8

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, যা বললেন জনপ্রশাসন সচিব

Update Time : 08:50:18 am, Wednesday, 18 September 2024
১২

অগ্নিশিথা প্রতিবেদকঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে ও নিরাপদ বোধ করে সেই জন্য সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব এ কথা বলেন।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সব পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে আস্থা থাকে- এজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনী একইসঙ্গে একই ছাতার নিচে কাজ করছে, এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করেছে বিস্তৃত পর্যায়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। তারা মনে করেছে, এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া) হলে পারপাস অব দ্য গভর্নমেন্ট সিকিউরড দ্য সিটিজেন। উই আর সারভিং ফর দ্য স্টেট (আমরা দেশের সেবা করছি)। এই মুহূর্তে মনে হয়েছে এটা দরকার। টার্গেট (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ার সময়) বলে দেওয়া হয়েছে, মাত্র ৬০ দিন।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আছে, এক্ষেত্রে কোন দ্বন্দ্ব তৈরি করবে কিনা- এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এটা কোন ক্যাডারের ক্ষমতা না, এটা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। কোন দ্বন্দ্ব হবে না। এক রাষ্ট্র এক জনগণ এক সরকার। জনস্বার্থে আপনি কাজ করেন, আমি কাজ করি। এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া) ভালো ফল দেবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারাদেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।