Dhaka 12:39 am, Thursday, 4 December 2025

কোটা আন্দোলন: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ক্ষতি ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা,

Reporter Name
  • Update Time : 06:29:57 পূর্বাহ্ন, রবিবার, 28 জুলাই 2024
  • / 276 Time View
১৩
মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো
চট্টগ্রাম: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে চলা তাণ্ডবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দপ্তর প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৬ জুলাই থেকে সপ্তাহজুড়ে দুষ্কৃতকারীরা নাশকতা চালায় রেলের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলন চলাকালে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।
চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের চারটি বগি।
আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। এতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
১৭ জুলাই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ১৮ জুলাই থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়  এক সপ্তাহে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১৮ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার বলেন, দুষ্কৃতকারীদের তাণ্ডবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ ও যান্ত্রিক বিভাগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় পূর্বাঞ্চলের অধীন ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কোটা আন্দোলন: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ক্ষতি ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা,

Update Time : 06:29:57 পূর্বাহ্ন, রবিবার, 28 জুলাই 2024
১৩
মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো
চট্টগ্রাম: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে চলা তাণ্ডবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দপ্তর প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৬ জুলাই থেকে সপ্তাহজুড়ে দুষ্কৃতকারীরা নাশকতা চালায় রেলের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলন চলাকালে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।
চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের চারটি বগি।
আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। এতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
১৭ জুলাই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ১৮ জুলাই থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়  এক সপ্তাহে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১৮ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার বলেন, দুষ্কৃতকারীদের তাণ্ডবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ ও যান্ত্রিক বিভাগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় পূর্বাঞ্চলের অধীন ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।