Dhaka 9:01 am, Monday, 24 November 2025

কালিগঞ্জে সদর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের  বিরুদ্ধে  ৫ লক্ষ টাকার অধিক আত্মসাৎ করা অভিযোগ।

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:26:14 pm, Wednesday, 10 July 2024
  • 298 Time View
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সদর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  বিরুদ্ধে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর পাঁয়তারা পন্ড?২১ টি খাতের বিভিন্ন চাহিদার বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেবা খাতের বরাদ্দের ৬ লক্ষ ৯ হাজার ১ শত ৮৩ টাকার কথা কাউকে না জানিয়ে নিজে আত্মসাৎ করার জন্য ভুয়া বিল ভাউচার তৈরির মাধ্যমে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে স্টাম,ভ্যাট, আই টি বাদে  সাড়ে ৫  লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয় এর একাউন্টে না রেখে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গতকাল দ্রুত সাতক্ষীরা থেকে কিছু মালামাল কিনে এনে দায় উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২ টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার সরকারি সদর কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অত্র বিদ্যালয়ের নাম না প্রকাশ করা শর্তে একাধিক শিক্ষক, কর্মচারীরা সাংবাদিকদের জানান ২০২২ -২৩ অর্থ বছরের চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগের সেবা খাতে ৬ লক্ষ ১ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। উক্ত টাকা গুলোর কাজ ৩০ শে জুনের মধ্যে সম্পাদন করে উত্তোলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক  বরাদ্দের টাকার বিষয়ে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীকে না জানিয়ে ৩০ জুন বিভিন্ন দোকান থেকে তার সহযোগি তার অনুসারী কয়েক শিক্ষকদের নিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে উপজেলা হিসাব  রক্ষণ  অফিসে জমা দিয়ে সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলনকৃত টাকা কোন শিক্ষক-কর্মচারীদের না জানিয়ে তিনি তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা করেন। বিষয়টি জানাজানির মাধ্যমে হয়ে গেলে স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে দারুন ক্ষোভের  সৃষ্টি হয় এবং ওই সময় বিক্ষিপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা তার নিকট জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার গেলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে। তবে কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং কত টাকা বরাদ্দ ছিল এ বিষয়ে কাউকে কিছু পরিষ্কার করেনি। পরে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় বিদ্যালয় ভবনে শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা ডাকে। উক্ত সভায় টাকার কথা স্বীকার করলেওপ্রকৃতপক্ষে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং উত্তোলনকৃত টাকা স্কুল কোন ফান্ডে না রেখে কোথায় রাখা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক ধারণা দেওয়া হয়নি ।  তবে স্কুলে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে এমনটি জানানো হয়। পরে বিষয়টির দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে নিজের পকেটের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে সাতক্ষীরায় কিছু মালামাল কেনার জন্য যায়। বর্তমান বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ  বিরাজ করছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন ভাউচারের বিনিময়ে স্টাম, ভ্যাট, আইটি, বাবদ ৫৮,৬৩১ বাদে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৫২ টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে টাকা কোথায় রেখেছে সে ব্যাপারে তাদের কোন জবাবদিহিতা নাই বলে জানান। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক গোপাল গাইনের নিকট জানতে চাইলে তিনি  সাংবাদিকদের সঙ্গে টাকা এবং বরাদ্দের বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। টাকা কোথায় রেখেছেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর মেলেনি  তবে পরে জানাবেন বলে জানান।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

জনপ্রিয় পোস্ট

হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া

কালিগঞ্জে সদর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের  বিরুদ্ধে  ৫ লক্ষ টাকার অধিক আত্মসাৎ করা অভিযোগ।

Update Time : 02:26:14 pm, Wednesday, 10 July 2024
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সদর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  বিরুদ্ধে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর পাঁয়তারা পন্ড?২১ টি খাতের বিভিন্ন চাহিদার বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেবা খাতের বরাদ্দের ৬ লক্ষ ৯ হাজার ১ শত ৮৩ টাকার কথা কাউকে না জানিয়ে নিজে আত্মসাৎ করার জন্য ভুয়া বিল ভাউচার তৈরির মাধ্যমে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে স্টাম,ভ্যাট, আই টি বাদে  সাড়ে ৫  লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয় এর একাউন্টে না রেখে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গতকাল দ্রুত সাতক্ষীরা থেকে কিছু মালামাল কিনে এনে দায় উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২ টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার সরকারি সদর কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অত্র বিদ্যালয়ের নাম না প্রকাশ করা শর্তে একাধিক শিক্ষক, কর্মচারীরা সাংবাদিকদের জানান ২০২২ -২৩ অর্থ বছরের চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগের সেবা খাতে ৬ লক্ষ ১ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। উক্ত টাকা গুলোর কাজ ৩০ শে জুনের মধ্যে সম্পাদন করে উত্তোলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক  বরাদ্দের টাকার বিষয়ে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীকে না জানিয়ে ৩০ জুন বিভিন্ন দোকান থেকে তার সহযোগি তার অনুসারী কয়েক শিক্ষকদের নিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে উপজেলা হিসাব  রক্ষণ  অফিসে জমা দিয়ে সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলনকৃত টাকা কোন শিক্ষক-কর্মচারীদের না জানিয়ে তিনি তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা করেন। বিষয়টি জানাজানির মাধ্যমে হয়ে গেলে স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে দারুন ক্ষোভের  সৃষ্টি হয় এবং ওই সময় বিক্ষিপ্ত শিক্ষক কর্মচারীরা তার নিকট জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার গেলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে। তবে কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং কত টাকা বরাদ্দ ছিল এ বিষয়ে কাউকে কিছু পরিষ্কার করেনি। পরে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় বিদ্যালয় ভবনে শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা ডাকে। উক্ত সভায় টাকার কথা স্বীকার করলেওপ্রকৃতপক্ষে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং উত্তোলনকৃত টাকা স্কুল কোন ফান্ডে না রেখে কোথায় রাখা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক ধারণা দেওয়া হয়নি ।  তবে স্কুলে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে এমনটি জানানো হয়। পরে বিষয়টির দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে নিজের পকেটের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে সাতক্ষীরায় কিছু মালামাল কেনার জন্য যায়। বর্তমান বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ  বিরাজ করছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন ভাউচারের বিনিময়ে স্টাম, ভ্যাট, আইটি, বাবদ ৫৮,৬৩১ বাদে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৫২ টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে টাকা কোথায় রেখেছে সে ব্যাপারে তাদের কোন জবাবদিহিতা নাই বলে জানান। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক গোপাল গাইনের নিকট জানতে চাইলে তিনি  সাংবাদিকদের সঙ্গে টাকা এবং বরাদ্দের বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। টাকা কোথায় রেখেছেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর মেলেনি  তবে পরে জানাবেন বলে জানান।