Dhaka 10:18 am, Wednesday, 26 November 2025

আদালতের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে থানা যেন উন্মুক্ত আদালত

Reporter Name
  • Update Time : 09:14:56 am, Tuesday, 20 February 2024
  • / 367 Time View

বিপ্লব হোসাইন ফারুক,নেত্রকোনা:পূর্বধলা থানা যেন উন্মুক্ত আদালত, আদালতের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ বিষেয়ে গ্রাম্য টাউট বাটপারদের নিয়ে চলছে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির নামে আলো আধারের খেলা।

অবস্থা দৃষ্টে পক্ষ প্রতিপক্ষ ন্যায় বিচারের স্বার্থে আশ্রয় নেয় বিচারিক আদালতে/ উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে ক্ষমতাশালীদের দখলদারিত্বের বিষয়ে সাংঘর্ষিক কোন ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিলে তার জন্য দুর্বল প্রতিপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধান মতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে মামলা দায়ের করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামলার শুনানি অবগত হয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু পূর্বধলা থানা অফিসার ইনচার্জ ক্ষমতার দাপটে নিজস্ব গতিতে এর উল্টো পথে হাঁটছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। এরই মাঝে উল্লেখিত থানার আগিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিম গং এবং আব্দুল হামিদ গংদের মাঝে পারিবারিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি আপিল মামলা চলমান বিচারিক মামলা নং ৪৪/১৭ দায়রা আপীল নং ৩৫/১৮। মামলাটির শুনানি চলাকালীন সময়ে আপিলকারী পক্ষ এলাকার কিছু টাউট বাটপারদের নিয়ে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মামলার রায় ও ডিগ্রী বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তপসিল বর্ণিত বিরোধপূর্ণ ভূমি দখলে নিতে চাষাবাদের উদ্দেশ্যে বিগত ৪/২/২৪ ইং তাং সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করে।

বিষয়টি প্রতিপক্ষ আব্দুল হেকিম গং অবগত হয়ে ত্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। পরদিন ৫/২/২৪ ইং তারিখ আবদুল হেকিম সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার কে তফসিল বর্ণিত ভূমি ও আপিল মামলার রায় ডিগ্রির ফটোকপি সহ বিষয়টি লিখিত ভাবে অবগত করলে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

আর তাতেই ফল হলো উল্টো এতে করে বেজায় চটে যান সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ,থানায় চলে পক্ষ প্রতিপক্ষদের নিয়ে দেন দরবার, নিভৃত গোপন কুপন খেলা। পরদিন আব্দুল হেকিমের মেজো ছেলে আনোয়ার হোসেন (ফারজুল) তড়িঘড়ি করে সংশ্লিষ্ট জেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার বিধান মতে তিন জন কে বিবাদী করে মোকদ্দমা দায়ের করিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
উল্লেখিত থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করেন, আর সেই নির্দেশ তামিল না করেই প্রতিপক্ষকে ভূমি দখলে নিতে সুবিধা করে দেন।

ইতিপূর্বে তফসিল বর্ণিত বিরোধপূর্ন ভূমি সংশ্লিষ্ট থানার পূর্বের অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে উভয় পক্ষের চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে থানার রিসিভার ছিল শর্ত ছিল আপিল মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ ভূমির যাবতীয় কার্যক্রম থানা হেফাজতে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে । এরূপ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ অবগত থাকার পরও আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থতার পরিচয় বহন করেছেন।

এখানেই সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখিত থানার অফিসার ইনচার্জ আন্তরিকতার সহিত আইনগত কোন সহযোগিতা না করে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বিভিন্ন মামলা হামলা ভয় দেখিয়ে হুমকি-দানকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের এই সুস্পষ্ট বিষয়টি দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

10

আদালতের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে থানা যেন উন্মুক্ত আদালত

Update Time : 09:14:56 am, Tuesday, 20 February 2024

বিপ্লব হোসাইন ফারুক,নেত্রকোনা:পূর্বধলা থানা যেন উন্মুক্ত আদালত, আদালতের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ বিষেয়ে গ্রাম্য টাউট বাটপারদের নিয়ে চলছে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির নামে আলো আধারের খেলা।

অবস্থা দৃষ্টে পক্ষ প্রতিপক্ষ ন্যায় বিচারের স্বার্থে আশ্রয় নেয় বিচারিক আদালতে/ উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে ক্ষমতাশালীদের দখলদারিত্বের বিষয়ে সাংঘর্ষিক কোন ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিলে তার জন্য দুর্বল প্রতিপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধান মতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে মামলা দায়ের করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামলার শুনানি অবগত হয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু পূর্বধলা থানা অফিসার ইনচার্জ ক্ষমতার দাপটে নিজস্ব গতিতে এর উল্টো পথে হাঁটছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। এরই মাঝে উল্লেখিত থানার আগিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিম গং এবং আব্দুল হামিদ গংদের মাঝে পারিবারিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি আপিল মামলা চলমান বিচারিক মামলা নং ৪৪/১৭ দায়রা আপীল নং ৩৫/১৮। মামলাটির শুনানি চলাকালীন সময়ে আপিলকারী পক্ষ এলাকার কিছু টাউট বাটপারদের নিয়ে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মামলার রায় ও ডিগ্রী বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তপসিল বর্ণিত বিরোধপূর্ণ ভূমি দখলে নিতে চাষাবাদের উদ্দেশ্যে বিগত ৪/২/২৪ ইং তাং সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করে।

বিষয়টি প্রতিপক্ষ আব্দুল হেকিম গং অবগত হয়ে ত্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। পরদিন ৫/২/২৪ ইং তারিখ আবদুল হেকিম সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার কে তফসিল বর্ণিত ভূমি ও আপিল মামলার রায় ডিগ্রির ফটোকপি সহ বিষয়টি লিখিত ভাবে অবগত করলে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

আর তাতেই ফল হলো উল্টো এতে করে বেজায় চটে যান সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ,থানায় চলে পক্ষ প্রতিপক্ষদের নিয়ে দেন দরবার, নিভৃত গোপন কুপন খেলা। পরদিন আব্দুল হেকিমের মেজো ছেলে আনোয়ার হোসেন (ফারজুল) তড়িঘড়ি করে সংশ্লিষ্ট জেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার বিধান মতে তিন জন কে বিবাদী করে মোকদ্দমা দায়ের করিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
উল্লেখিত থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করেন, আর সেই নির্দেশ তামিল না করেই প্রতিপক্ষকে ভূমি দখলে নিতে সুবিধা করে দেন।

ইতিপূর্বে তফসিল বর্ণিত বিরোধপূর্ন ভূমি সংশ্লিষ্ট থানার পূর্বের অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে উভয় পক্ষের চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে থানার রিসিভার ছিল শর্ত ছিল আপিল মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ ভূমির যাবতীয় কার্যক্রম থানা হেফাজতে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে । এরূপ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ অবগত থাকার পরও আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থতার পরিচয় বহন করেছেন।

এখানেই সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখিত থানার অফিসার ইনচার্জ আন্তরিকতার সহিত আইনগত কোন সহযোগিতা না করে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বিভিন্ন মামলা হামলা ভয় দেখিয়ে হুমকি-দানকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের এই সুস্পষ্ট বিষয়টি দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন।