Dhaka 1:37 am, Monday, 24 November 2025

ইসলামাবাদে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:37:00 am, Saturday, 3 May 2025
  • 97 Time View

অগ্নিশিখা ডেস্ক: ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ‘বাংলা নববর্ষ- ১৪৩২’ উদযাপন করা হয়েছে।

ঢাকায় প্রাপ্ত আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসলামাবাদে স্যার সৈয়দ মেমোরিয়াল সোসাইটির বৃহৎ ‘সিদ্ধ রোড কালচারাল সেন্টারে’ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান এবং হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অতিথিদের অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করেন।

পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব আমব্রিন জান প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ স্ট্রিমিং) করা হয়।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার ও কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেড় সহস্রাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, পয়লা বৈশাখ সম্প্রীতি ও মহামিলনের দিন। এ দিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে, নব অঙ্গীকারে।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী সাজপোশাকে সুসজ্জিত শিল্পীরা আবৃত্তি, নাচ ও গান পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটির শিল্পী এবং পাকিস্তানি শিল্পীরাও এতে অংশ নেন।

পাকিস্তানে সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও এতে অংশগ্রহণ করেন এবং গান পরিবেশন করেন।

বাঙালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্ভাষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ।

এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানস্থল আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন, ঘুড়ি, ফুল এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি লোকজ শিল্পপণ্য দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।

অতিথিরা বাংলাদেশের নাচ-গান, খাবার, লোকজ শিল্পপণ্য, স্ট্যান্ডি ও ভিডিও অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠান চলাকালীন আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে পরিবেশন করা হয় ফুচকা, মাঠা, লেবুর শরবত, তরমুজ, শসা, কাঁচা আম, পিচ ও লোকাট ফল।

হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের প্রস্তুত করা খাবারের মধ্যে ছিল দুধ-লাউয়ের ফিন্নি, আচার, গাজরের হালুয়া, ডিমের হালুয়া, গোলাপ পিঠা, নকশি পিঠা, পাটি সাপটা পিঠা ও তেলের পিঠা।

এছাড়া পরিবেশন করা হয় পান্তা ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, বাদাম ভর্তা, টাকি মাছের ভর্তা, মসুর ডালের ভর্তা, লইট্টা শুঁটকি ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, চ্যাপা শুঁটকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, বরবটি ভর্তা, ধনিয়া পাতার ভর্তা ও করলার ভাজি। তাছাড়া অতিথিদের জন্য পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কাচ্চি বিরিয়ানি ও খিচুড়ি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

জনপ্রিয় পোস্ট

হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া

ইসলামাবাদে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

Update Time : 06:37:00 am, Saturday, 3 May 2025

অগ্নিশিখা ডেস্ক: ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ‘বাংলা নববর্ষ- ১৪৩২’ উদযাপন করা হয়েছে।

ঢাকায় প্রাপ্ত আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসলামাবাদে স্যার সৈয়দ মেমোরিয়াল সোসাইটির বৃহৎ ‘সিদ্ধ রোড কালচারাল সেন্টারে’ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান এবং হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অতিথিদের অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করেন।

পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব আমব্রিন জান প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ স্ট্রিমিং) করা হয়।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার ও কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেড় সহস্রাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, পয়লা বৈশাখ সম্প্রীতি ও মহামিলনের দিন। এ দিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে, নব অঙ্গীকারে।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী সাজপোশাকে সুসজ্জিত শিল্পীরা আবৃত্তি, নাচ ও গান পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটির শিল্পী এবং পাকিস্তানি শিল্পীরাও এতে অংশ নেন।

পাকিস্তানে সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও এতে অংশগ্রহণ করেন এবং গান পরিবেশন করেন।

বাঙালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্ভাষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ।

এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানস্থল আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন, ঘুড়ি, ফুল এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি লোকজ শিল্পপণ্য দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।

অতিথিরা বাংলাদেশের নাচ-গান, খাবার, লোকজ শিল্পপণ্য, স্ট্যান্ডি ও ভিডিও অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠান চলাকালীন আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে পরিবেশন করা হয় ফুচকা, মাঠা, লেবুর শরবত, তরমুজ, শসা, কাঁচা আম, পিচ ও লোকাট ফল।

হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের প্রস্তুত করা খাবারের মধ্যে ছিল দুধ-লাউয়ের ফিন্নি, আচার, গাজরের হালুয়া, ডিমের হালুয়া, গোলাপ পিঠা, নকশি পিঠা, পাটি সাপটা পিঠা ও তেলের পিঠা।

এছাড়া পরিবেশন করা হয় পান্তা ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, বাদাম ভর্তা, টাকি মাছের ভর্তা, মসুর ডালের ভর্তা, লইট্টা শুঁটকি ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, চ্যাপা শুঁটকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, বরবটি ভর্তা, ধনিয়া পাতার ভর্তা ও করলার ভাজি। তাছাড়া অতিথিদের জন্য পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কাচ্চি বিরিয়ানি ও খিচুড়ি।