রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
মোঃ কামাল পাঠান
ব্রাক্ষণবাড়ীয়া সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়ন তেলিকান্দি বাইতুস সালাম জামে মসজিদের মিলাদ কিয়াম নিয়ে দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। বাইতুস সালাম মসজিদ শুরু থেকে সুন্নী ইমাম সাহেব দারা নামাজ পরিচালনা করে আসছে স্থানীয় এলাকাবাসী, সবাই মিলে ইমাম মোয়াজ্জিনের বেতন ভাতা থাকা-খাওয়া দাইত্ত সব কিছুই করে মসজিদ টি চালিয়ে যাচ্ছে তবে গত ৫/৬ বছর ধরে কওমী পন্থীরা মিলাদ কিয়াম নিয়ে আপত্তি করে এই নিয়ে উক্ত এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই মর্মে এক পর্যায়ে মামলা ও করা হয় এবং মামলা হারিজ হই। ইদানিং হঠাৎ করে কওমি পন্থী কয়েকজন মিলে সরাইল উপজেলা নিবাহী কমকর্তা বরাবর ইমাম নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবেদন করে এর পর নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোশারফ হোসাইন কে সভাপতি করে একটি মসজিদ কমিটি গঠন করে এবং নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেই এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে ইমাম সাহেব ও মোয়াজ্জেম নিয়োগ দেই।
নবাগত ইমাম ও মোয়াজ্জেম কে ১৭ অক্টোবর তেলিকান্দি বাইতুস সালাম জামে মসজিদে বুঝিয়ে দেবার জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে মসজিদে গেলে স্থানীয় মসজিদ কমিটি আলোচনার মাধ্যমে জুমার নামাজ পড়তে রাজি হই এবং নামাজ সবাই মিলে একসাথে আদায় করে কিন্তু নামাজের পর সুন্নী পন্থীরা কিয়াম করতে গেলে কওমি পন্থীরা বাধা দেই এই নিয়ে শুরু হয় হাতাহাতি পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় নবাগত ইমাম সাহেব ও মোয়াজ্জেম কে দায়িত্বে প্রাপ্ত প্রশাসন সমাজসেবা অফিসার জামাল মিয়া, বিএনপি নেতা মশিউর মাস্টার, ওসমান গনি, এস আই জাহিদ তাদের সাথে থাকা কওমি আলেমরা সরাইলের উদ্দেশ্যে চলে যাই। এ সময় মশিউর মাস্টার বলেন ইমাম ও মোয়াজ্জেম আপনাদের পছন্দ না হলে নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করবেন। উক্ত বিষয়ে সমাজসেবা অফিসার জামাল মিয়ার কাছে নিয়োগ পত্র বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে কোন ধরনের নিয়োগ পত্র দেখাতে পারিনি এমনকি কোন কওমী আলেমরা নিয়োগের বিষয়ে বা যে আলেম সাহেবরা নিয়োগ দিয়েছিল কেউ তাদের সাথে আসেনি বলে জানায়।
উক্ত বিষয়ে বাইতুস সালাম জামে মসজিদের বর্তমান সেক্রেটারি জনাব উমদ আলী মিয়াকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমার বাপ দাদারা এই মসজিদ তৈরি করেছে এবং ইমাম মোয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়ে মসজিদ পরিচালনা করে আসছে এটা আমাদের সুন্নীদের মসজিদ আমরা গত ছয় বছর ধরে সুন্নি ইমাম দ্বারা মসজিদ পরিচালনা করে আসছি এই মসজিদের বেতন ভাতা এবং দেখাশোনা আমরাই করি। আমাদের ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া আছে এবং থাকবে আমরা অন্য কোন ইমামের পিছনে নামাজ পড়বো না। এই বিষয়ে কওমিপন্থী জালাল মিয়ার কাছে মসজিদের ইমাম নিয়োগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাদেরকে জানান তার কাছে কোন ধরনের কাগজপত্র নেই সে আরো বলেন আমি উক্ত মসজিদের কমিটিরও সদস্য নয়। এর পর নবাগত ইমাম সাহেব বয়ান ও খুতবা পাঠ করে নামাজ সম্পন্ন করে দোয়া করার পরে সুন্নী পন্থীরা কিয়ামে দাঁড়ালে কওমিপন্থীরা বাধা দেই তার পর দৌড়াদৌড়ি এবং হাতাহাতি শুরু হয় এক পর্যায়ে প্রশাসনের পক্ষের লোক এবং কওমিপন্থীরা ইমাম মোয়াজ্জিনকে নিয়ে সরাইলের উদ্দেশ্যে চলে যাই। সবশেষে বর্তমান ইমাম সাহেবের নেতৃত্বে মিলাদ ও কিয়াম করে তাবারক বিতরণ করা হয়।