সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হতে চল্লিশ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মেহেদী হত্যা মামলার মূল আসামিসহ ৯ জন আসামি গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো গুগল পে, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে জম্মু-কাশ্মিরে সেনা অভিযান ভারতের, নিহত ৩ সন্ত্রাসী মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে দূতাবাসে এবি পার্টির স্মারকলিপি সাত জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি নবাবগঞ্জে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ: আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষির নতুন সম্ভাবনা পীরগঞ্জে টিআর কাবিখা প্রকল্পে তোঘলকি কারবার ! দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ, জরুরি নির্দেশনা জারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ

অগ্নিশিখা প্রতিবেদক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে ইইউর মোট পোশাক আমদানি ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে এই সময়ে আমদানি ইউনিট মূল্যে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। যার ফলে পোশাকের গড় দাম কমে এসেছে।

বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩৯ দশমিক ০২ শতাংশ পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটলেও ইউনিট মূল্য ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দাম কমার প্রবণতার মধ্যেও বাংলাদেশের রপ্তানির এমন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বাজারে দেশের পোশাক খাতের সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।

বিশ্লেষণে আরও উঠে এসেছে, উচ্চমূল্যের পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, ইইউর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, শ্রমিক নিরাপত্তায় উন্নয়ন এবং শ্রমিক-উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ফলে ইউরোপীয় ক্রেতাদের আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একই সময়ে ইইউতে অন্যান্য দেশের রপ্তানিতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। পরিসংখ্যান বলছে, চীনের রপ্তানি ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে। এছাড়া ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ। তবে তুরস্কের রপ্তানি ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বছর পুরো সময়জুড়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য পরিস্থিতির কারণে ক্রেতারা বাংলাদেশের প্রতি আরও মনোযোগী হচ্ছেন। ফলে চলতি বছরে নতুন ক্রয়াদেশ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে।

তবে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ইউনিট মূল্য হ্রাস একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ অবস্থায় মূল্য সংযোজন বাড়ানো, নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে, বিশ্ববাজারে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে। তবে ইউনিট মূল্য আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন। যদিও পুরো বিশ্ব জুড়েই প্রতিযোগিতার কারণে দাম কমছে। তবে এর মধ্যেও বাজার ধরে রাখতে আরও দক্ষ ব্যবস্থাপনা, পণ্যে বৈচিত্র্য ও বাজার সম্প্রসারণ জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com