Dhaka 10:17 pm, Friday, 21 November 2025

জুমার নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ভয়াবহ শাস্তি

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:00:40 am, Saturday, 1 June 2024
  • 336 Time View

অনলাইন ডেস্ক:-

মুসলমানদের জন্য শুক্রবার বরকতময় একটি দিন। দিনটিকে মহান আল্লাহ তাআলা ইহুদি ও নাছারাদের ওপর ফরজ করেছিলেন।

কিন্তু তারা মতবিরোধ করে দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করে। পরে ইহুদিরা শনিবার এবং খ্রিস্টানরা রোববারকে তাদের ইবাদতের দিন বানায়। অবশেষে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এক মহান ও ফজিলতের দিন হিসেবে শুক্রবার দিনটিকে দান করেন। যা উম্মতে মুহাম্মদি সাদরে গ্রহণ করে (বুখারী, হাদিস নং: ৮৭৬, মুসলিম, হাদিস নং: ৮৫৫)।জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ‘সুরাতুল জুমুআ’ নাজিল করেছেন। ওই সুরায় মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন করো। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি করো। ’ (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ৯)

জুমার সালাত আদায় করা ইসলামের অকাট্য বিধান। মহানবী (সা.) বলেন, প্রত্যেক সাবালক পুরুষের জন্য জুমায় উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। (নাসাঈ, হাদিস : ১৩৭১)

জুমার নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদিসে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকে নিজের পেছনে ফেলে দিল। (সহিহ তারগিব, হাদিস : ৭৩২)

মহান আল্লাহ জুমার সালাত পরিত্যাগকারীদের অন্তরে মোহর মেরে দেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন: যারা জুমার সালাত ত্যাগ করে তাদের এ অভ্যাস বর্জন করতে হবে; নতুবা আল্লাহ তাদের অন্তরে সিল মেরে দেবেন, অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৭)

প্রশ্ন হলো, জুমার সালাতের জন্য কতজন মুসল্লির উপস্থিতি জরুরি? এ বিষয়ে হানাফি মাজহাবের বক্তব্য হলো—ইমাম ছাড়া কমপক্ষে তিনজন মুসল্লি হওয়া আবশ্যক। ইমাম খুতবা দেবেন।

বাকি তিনজন খুতবা শুনবেন এবং জুমায় শরিক থাকবেন। এর চেয়ে কমসংখ্যক মুসল্লি হলে সেখানে জুমা সহিহ হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ৩/২৪) ইমাম শাফেই ও আহমদ (রহ.)-এর মতে, জামাতের জন্য ৪০ জন হওয়া জরুরি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mottakim Ahmed

Popular Post

সরাইল জাতীয় নাগরিক পার্টি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

জুমার নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ভয়াবহ শাস্তি

Update Time : 06:00:40 am, Saturday, 1 June 2024

অনলাইন ডেস্ক:-

মুসলমানদের জন্য শুক্রবার বরকতময় একটি দিন। দিনটিকে মহান আল্লাহ তাআলা ইহুদি ও নাছারাদের ওপর ফরজ করেছিলেন।

কিন্তু তারা মতবিরোধ করে দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করে। পরে ইহুদিরা শনিবার এবং খ্রিস্টানরা রোববারকে তাদের ইবাদতের দিন বানায়। অবশেষে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এক মহান ও ফজিলতের দিন হিসেবে শুক্রবার দিনটিকে দান করেন। যা উম্মতে মুহাম্মদি সাদরে গ্রহণ করে (বুখারী, হাদিস নং: ৮৭৬, মুসলিম, হাদিস নং: ৮৫৫)।জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ‘সুরাতুল জুমুআ’ নাজিল করেছেন। ওই সুরায় মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন করো। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি করো। ’ (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ৯)

জুমার সালাত আদায় করা ইসলামের অকাট্য বিধান। মহানবী (সা.) বলেন, প্রত্যেক সাবালক পুরুষের জন্য জুমায় উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। (নাসাঈ, হাদিস : ১৩৭১)

জুমার নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদিসে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকে নিজের পেছনে ফেলে দিল। (সহিহ তারগিব, হাদিস : ৭৩২)

মহান আল্লাহ জুমার সালাত পরিত্যাগকারীদের অন্তরে মোহর মেরে দেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন: যারা জুমার সালাত ত্যাগ করে তাদের এ অভ্যাস বর্জন করতে হবে; নতুবা আল্লাহ তাদের অন্তরে সিল মেরে দেবেন, অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৭)

প্রশ্ন হলো, জুমার সালাতের জন্য কতজন মুসল্লির উপস্থিতি জরুরি? এ বিষয়ে হানাফি মাজহাবের বক্তব্য হলো—ইমাম ছাড়া কমপক্ষে তিনজন মুসল্লি হওয়া আবশ্যক। ইমাম খুতবা দেবেন।

বাকি তিনজন খুতবা শুনবেন এবং জুমায় শরিক থাকবেন। এর চেয়ে কমসংখ্যক মুসল্লি হলে সেখানে জুমা সহিহ হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ৩/২৪) ইমাম শাফেই ও আহমদ (রহ.)-এর মতে, জামাতের জন্য ৪০ জন হওয়া জরুরি।