রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
সিলেট-চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যূরুচীফ ওমরঃ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনয়িনরে কাঞ্চনপুর গ্রামের খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) অপহরণের প্রায় ১মাস পর প্রধান আসামী পপি সহ তার মা-বাবা গ্রেফতার হয়েছে।
গতকাল ১৭ই ফেব্রুয়ারি (শনিবার) অপহরণের মামলায় ২নং ও ৩নং আসামি আটকের পর ১৮ই ফেব্রুয়ারি (রবিবার) চম্পকনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ গাজী রবিউল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোর ৪ ঘটিকায় মনতলা তারই আত্মীয় শফিকুল ইসলাম এর বাড়ি হইতে প্রধান আসামি পপিকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৯শে জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকাল ৩ঘটিকায় এ ঘঠনা ঘটে। নিখোঁজ ময়না সিঙ্গারবিল ইউনয়িনরে কাঞ্চনপুর গ্রামরে প্রবাসী মো: রাসলে মিয়ার স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি উপজেলার ছতরপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার কন্যা। অসহায় পরবিারটা আত্মীয়-স্বজনরে বাড়ীসহ অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি । ময়নার পাঁচ বছররে একটা কন্যা সন্তান রয়েছে।
গুম হয়ে যাওয়ার ১৫ দিন পর প্রবাসী স্বামীর ইমু নাম্বারে অপহৃত কণ্ঠ পাঠানো একটি অডিও রেকর্ডে কাতর সুরে বলতে শোনা যায় “আমাকে কিভাবে ভুলে থাকতেছ আমাকে কি বাঁচাইবানা। আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ী) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন পপি ) জানে আমি কোথায় আছি । আমার মোবাইলটা পপি আপা কোথায় রাখছে জানিনা। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল।এখানে অনেক ঠান্ডা উপায়ান্ত না দেখে অপহৃত ময়নার মা সুমা বগেম বাদী হয়ে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিজয়নগর থানায় একটা সাধারণ ডাইরি করেন, যাহার নাম্বার ৬৯৫। বিজয়নগর থানার জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কালে কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনার নমুনা পাওয়াতে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ময়নার মা বাদী হয়ে ময়নার ননদ পপি ও শশুর শাশুড়ি নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের ৯ঘন্টায় মাথায় পপি সহ তার মা বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার চম্পকনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ, গাজী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, অপহরণ মামলায় পপি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ ও প্রয়োজনে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহৃত ময়নাকে উদ্ধারের যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।