নিজস্ব প্রতিবেদকঃ থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা পরিষেবা চালু করবে। পাশাপা‌শি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত থাইল্যান্ডের রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিংয়ের ট্রায়াল শিগগিরই শুরু হ‌তে পা‌রে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র স‌চিব মো. জসীম উ‌দ্দি‌নের স‌ঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ক‌রে এই তথ্য জানান থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উপকূলীয় নৌপরিবহন, কৃষি ব্যবসা, পর্যটন ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সংক্রান্ত পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত জানান যে, থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা পরিষেবা চালু করবে, যেখানে আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং ই-ভিসা পাবেন।

আলোচনাকালে থাই রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে সফল সফরের কথা উল্লেখ করেন, যা থাই ব্যবসায়ীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

উভয়েই যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় ৬ষ্ঠ জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) সভা আহ্বানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার পথ সুগম করবে।উভয়েই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শিগগির অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশি সুস্বাদু খাবারের প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য জ্ঞান, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বিনিময়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।

পররাষ্ট্র সচিব নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ সভার আয়োজন এবং মুলতবি থাকা দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।

তিনি ২০২৪ সালের মধ্য ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ‘ভিসা অব্যাহতি চুক্তি’ বলবৎ করা হবে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং থাইল্যান্ডের রানং বন্দরের মধ্যে একটি সরাসরি শিপিং লাইন বা জাহাজ চলাচলের পথ চালু করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।