কুমিল্লার মেঘনা থেকে তুলে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামানের বড় ছেলে মাজহারুল ইসলাম তুহিন এবং তার ছোট ছেলে পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম শিশিরের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা রামপ্রসাদের চর চকের বাড়ি ট্রলার ঘাট থেকে রেজাউল করিমকে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাকে নলচর ইটভাটার সামনে নিয়ে গিয়ে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
মারধরের বিষয়টি জানাজানি হলে হামলাকারীরা আহত শিক্ষার্থীকে ট্রলারে তুলে সোনারগাঁও নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও ১৫–২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
হামলায় আহত রেজাউল করিম মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুসাইন মোহাম্মদ মহসিনের ভাতিজা বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক)-এ রেফার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সচেতন মহল।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মেঘনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহত শিক্ষার্থীর পরিবার।