রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছেছে তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িবহর। লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান।

বেলা ৩টা ৫১ মিনিটের দিকে তারেক রহমান মঞ্চে ওঠেন। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতেই বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ।’ তাঁর সঙ্গে বিএনপির নেতারা ছিলেন। মঞ্চে উঠে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তারেক রহমান।

মঞ্চে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ৭১ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।

শহীদ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

তরুণ প্রজন্মই আগামীতে দেশ গড়ে তুলবে বলেন তিনি। গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি পরপর তিনবার বলেন আমরা দেশের শান্তি চাই।

মার্টিন লুথার কিং–এর ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উক্তির উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’ দেশকে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা তাঁর প্রয়োজন। তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেন তিনি।

তারেক রহমান এ সময় মা বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

তারেক রহমান বলেন, ‘সবাই মিলে করব কাজ, গড়বো মোদের বাংলাদেশ।’ তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বক্তব্য দেওয়ার পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে যাচ্ছেন তারেক রহমান। বিকেল সাড়ে চারটার একটু আগে তিনি বাসে উঠেছেন। সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।

সূত্র: প্রথম আলো।