ময়মনসিংহে কারখানার শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস হত্যার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের শোকাহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে সরকারের সহানুভূতি ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎকালে শিক্ষা উপদেষ্টা নিহত দিপুর বাবা রাবিলাল দাসসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্য অপরাধ, যার কোনো যুক্তি বা গ্রহণযোগ্যতা নেই। অভিযোগ, গুজব বা বিশ্বাসগত মতভেদ কখনোই সহিংসতার অজুহাত হতে পারে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনের শাসনের প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ঘটনায় উত্থাপিত সব অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই মামলাটি পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনের পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
অধ্যাপক আবরার বলেন, ধর্ম, জাতিসত্তা বা পরিচয় নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সমান আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করতে এবং বিভাজন বা অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সমাজের সব সম্প্রদায়, প্রতিষ্ঠান ও নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সংযম, মানবিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারকে আর্থিক ও কল্যাণমূলক সহায়তা দেওয়া হবে এবং আগামী দিনগুলোতে সরকার তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবে।
দেশের সব নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে তিনি উল্লেখ করেন।