সম্প্রতি জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতৃত্ব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার গানম্যান প্রদানের যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে গানম্যান প্রদানের বিষয়ে অবহিত করা হলেও তিনি তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে খুনি হাসিনার পতনের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি দৃশ্যমান ও ন্যায্য পরিবর্তন আসবে। কিন্তু বাস্তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকার অভাব এবং বিভিন্ন দপ্তরে ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে জননিরাপত্তা বারবার ব্যাহত হচ্ছে।
তার বক্তব্যে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরভাবে সক্রিয় করে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনা হলে আজ নিরাপত্তা নিয়ে এত উদ্বেগ থাকত না। বরং প্রশ্ন থেকেই যায়—জনগণের সেই প্রত্যাশা এখনো কেন পূরণ হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের হাতে ওসমান হাদির মতো মানুষ শহীদ হচ্ছেন, অথচ খুনীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান প্রদানের প্রস্তাব আসছে—এই বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে তার দ্বিধা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ছাত্রনেতা সাদিক কায়েম বলেন, “নিঃসন্দেহে আমাদের সবার নিরাপত্তা প্রয়োজন। কিন্তু সেই নিরাপত্তা যদি কেবল কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তা ইনসাফপূর্ণ হতে পারে না। আমাদের দাবি—দেশের আপামর মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও ইনসাফের বাংলাদেশ।”
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের ছাত্র-জনতা যখন এখনো অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে, তখন কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান গ্রহণ করাকে তিনি নিজের জন্য সঠিক মনে করেন না বলেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন তিনি।