লাল সবুজের পতাকা মলিন হতে না দেয়ার অঙ্গীকারে একাত্তরের সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার গাইবান্ধায় ৫৫ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়।

সকালে গাইবান্ধা পৌর পার্কে বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

সাড়ে ১১টায় জেলা স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা ও বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডের আহবায়ক মো. আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, একাত্তরে সূর্য সন্তানদের জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে, আমাদের নতুন প্রজন্ম লাল সবুজের প্রাণের পতাকাকেও কোনোদিন মলিন হতে দিবে না।

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দুপুরে বিশেষ মোনাজাত, হাসপাতাল, জেলখানা ও সরকারি শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা ও ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা।
এছাড়া সোমবার জেলা শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শিশুদের রচনা, চিত্রাংকন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।