ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
কোম্পানিগুলোর সম্মিলিতভাবে দাম বাড়ানোর এই কার্যক্রম অবশ্যই গ্রহণযোগ্য না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা করে ঠিক করব। যে কর্মকাণ্ডটা তারা করেছেন, এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল ক্রয় কমিটিতে টিসিবির জন্য ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন এবং এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান ওয়েল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে, তারা যে দামে আজকে বাজারে বিক্রি করছেন, সেখান থেকে প্রায় ২০ টাকা কমে আমাদেরকেই তেল দিয়েছেন। বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রির আমি তো যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। গতকালই তো আমরা কিনেছি তাদের কাছ থেকে!’
উপদেষ্টা বলেন, ‘৫০ লাখ লিটার তেল যদি টেন্ডারে ২০ টাকা কমে আমরা কিনতে পারি, তাহলে বাজারে কেন এত বেশি দামে বিক্রি হবে? এর তো কোনো যৌক্তিক কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না!’
বাজারের ওপর থেকে সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে জানতে পারবেন।’
রমজানের প্রস্তুতির বিষয় জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সবকিছুরই ভালো প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানে যেখানে রাজস্বের ব্যাপারে কর্মকাণ্ড করতে হবে, সরবরাহের ব্যাপারেও সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমদানি পর্যায়ের যে পরিমাণ ঋণপত্র খোলার প্রয়োজন, গতবার যা খোলা হয়েছিলো, সেটার থেকেও বেশি দেখতে পাচ্ছি। তাই সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা দেখছেন চিনির দাম কমছে। ইনশাআল্লাহ ছোলার দাম কমবে। ডালের দাম কমেছে, ডিমের দাম কমেছে, আর অন্যান্য কিছু জিনিসের দাম কমেছে। আমরা জিনিসটা বুঝবো, বুঝে যৌক্তিক যে সমাধান সেটাতেই যাবো। অযৌক্তিক কোনো সমাধান আমরা মানবো না।’