ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টিগ্রেটিং এআই ইনটু টিচিং অ্যান্ড লার্নিং: এক্সপ্লোরিং গুড প্র্যাকটিস’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায়  একাডেমিক মূল্যায়ন ও শিক্ষণ পদ্ধতিতে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যানচেস্টার ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. গ্যারি মটেরাম। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও টেসল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ড. মিঞা মো. নওশাদ কবির।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক ও টেসল সোসাইটি অব বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত আরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে টেসল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিল-এর সহযোগিতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন শিক্ষার প্রতিটি স্তরে গভীর প্রভাব ফেলছে এবং এটি আর কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়। বরং এআই আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও একাডেমিক কার্যক্রমকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এআই-নির্ভর কনটেন্ট ও স্বয়ংক্রিয় উত্তরের কারণে প্রচলিত মূল্যায়ন কাঠামো নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। এআই যেমন বড় সুযোগ, তেমনি এর সঙ্গে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিও। সঠিক সহযোগিতা ছাড়া কোনো একক প্রতিষ্ঠান এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না।

উপাচার্য বলেন, এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে নতুন এক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে, যা ঢাবির গবেষণা-সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই নতুন জ্ঞান, গবেষণা ও অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী। সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই আমরা এআই সুবিধার পরিধি বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আধুনিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা ও শিক্ষাদান পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন এখন সময়ের দাবি এবং এই ধরনের কর্মশালা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় গুণগত শিক্ষায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়।