Dhaka 11:15 am, Sunday, 28 December 2025

ইউএসএআইডিকে সরল বিশ্বাসে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল: জয়শঙ্কর

Reporter Name
  • Update Time : 06:27:50 am, Sunday, 23 February 2025
  • / 139 Time View
৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) অর্থায়ন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।শনিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং অবশ্যই তা উদ্বেগের। আমার মনে হয়, একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য কিছু মানুষ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। একটি দেশের ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসবেই।”

তিনি আরও বলেন, ইউএসএআইডি নিয়ে আমরা কাজ করি কি না, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। ইউএসএআইডিকে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই সংস্থা এখানে কাজ করছে। কিন্তু ওদের কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল সরল বিশ্বাসে, ভালো কাজের জন্য। এখন কথা উঠছে, আমেরিকার অনুদান খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, দেশের মানুষের এটা জানার অধিকার আছে যে, কারা সেই খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত বড় অঙ্কের সহায়তা বাতিলের পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে ভারতীয় ভোটারদের ভোটমুখী করতে বরাদ্দ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানও অন্তর্ভুক্ত। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন নতুন দফতর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এই ঘোষণা দেয়।

ডিওজিই’র এই আর্থিক সহায়তা বন্ধের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতে অনুদান বন্ধের বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “ভারতকে কেন আমরা ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি? তারা এরইমধ্যে অনেক বেশি অর্থ পেয়েছে। তারা আমাদের দৃষ্টিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ করদাতা দেশগুলোর একটি। অথচ আমাদের পক্ষে ভারতের বাজারে প্রবেশ করা বেশ কঠিন। কারণ, তাদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। আমি ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার? এর প্রয়োজনীয়তা কী?”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে, যা উদ্বেগের।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়ার

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইউএসএআইডিকে সরল বিশ্বাসে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল: জয়শঙ্কর

Update Time : 06:27:50 am, Sunday, 23 February 2025
৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) অর্থায়ন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।শনিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং অবশ্যই তা উদ্বেগের। আমার মনে হয়, একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য কিছু মানুষ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। একটি দেশের ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসবেই।”

তিনি আরও বলেন, ইউএসএআইডি নিয়ে আমরা কাজ করি কি না, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। ইউএসএআইডিকে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই সংস্থা এখানে কাজ করছে। কিন্তু ওদের কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল সরল বিশ্বাসে, ভালো কাজের জন্য। এখন কথা উঠছে, আমেরিকার অনুদান খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, দেশের মানুষের এটা জানার অধিকার আছে যে, কারা সেই খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত বড় অঙ্কের সহায়তা বাতিলের পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে ভারতীয় ভোটারদের ভোটমুখী করতে বরাদ্দ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানও অন্তর্ভুক্ত। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন নতুন দফতর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এই ঘোষণা দেয়।

ডিওজিই’র এই আর্থিক সহায়তা বন্ধের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতে অনুদান বন্ধের বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “ভারতকে কেন আমরা ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি? তারা এরইমধ্যে অনেক বেশি অর্থ পেয়েছে। তারা আমাদের দৃষ্টিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ করদাতা দেশগুলোর একটি। অথচ আমাদের পক্ষে ভারতের বাজারে প্রবেশ করা বেশ কঠিন। কারণ, তাদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। আমি ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার? এর প্রয়োজনীয়তা কী?”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে, যা উদ্বেগের।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়ার