ট্রাম্পের কঠোর নীতি থেকে বাঁচতে চান মোদী: এএফপি
- Update Time : 11:43:17 am, Thursday, 13 February 2025
- / 135 Time View
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি মার্কিন মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ও শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃত্ব এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোদি।ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, এবার মোদীর লক্ষ্য হবে ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি শুল্ক ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে তার কঠোর নীতে থেকে বাঁচার চেষ্টা করা।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারের পর মোদী ও ট্রাম্প এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে খুব কমই প্রশ্নের উত্তর দেন মোদী, তাই এটি এক বিরল ঘটনা বটে।
ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এরই মধ্যে মোদী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন, যাতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতে পারে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল ও মোদী দ্রুত কিছু শুল্ক ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছেন। ভারত এরই মধ্যে উচ্চ মূল্যের মোটরসাইকেলের উপর শুল্ক কমিয়েছে, যা মার্কিন কোম্পানি হার্লে-ডেভিডসনের জন্য একটি বড় সুবিধা।
এছাড়া, ভারত সম্প্রতি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে ১০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফিরিয়ে নিয়েছে। চলতি মাসেই একটি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজে করে তাদের ভারতে রেখে যাওয়া হয়। এরপরই ভারত অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভারতের শীর্ষ কূটনীতিক বিক্রম মিশ্র বলেছেন, মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে ‘খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ রয়েছে। তবে এতদিনেও দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি বাণিজ্য ইস্যুকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এবার তিনি ভারতকে সবচেয়ে বড় শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে সমালোচনা করেছেন। তাই ট্রাম্পের অসন্তোষ এড়াতে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন মোদী।
এদিকে, ভারত সরকার ট্রাম্পের আরেকটি মূলনীতিতে সমর্থন জানিয়েছে। সেটি হলো, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ। যদিও লাতিন আমেরিকার অভিবাসন বেশি আলোচনায় থাকে। তবে মেক্সিকো ও এল সালভাদরের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের তৃতীয় বৃহত্তম উৎস হলো ভারত। তাই এই ইস্যুতে এবার ভারতের নামও জোরেশোরেই আলোচিত হচ্ছে।
কিন্তু মার্কিন অভিবাসন নীতির কারণে এরই মধ্যে ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০০ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে হাত-পা বেঁধে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ভারতে ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় ও বিরোধীরা এটিকে মোদীর পররাষ্ট্র নীতির দুর্বলতা হিসেবে আখ্যা দেয়।
এএফপি বলছে, মোদী সম্ভবত এবার ভারতে মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কিত আলোচনা এড়িয়ে যাবেন। ট্রাম্প প্রশাসনও এ বিষয়ে তেমন কড়া সমালোচনা করেনি, যা মোদীর জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।
সূত্র: এএফপি

























