Dhaka 1:17 pm, Sunday, 23 November 2025

পুলিশের আস্কারায় থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারকের হাট

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:08:44 am, Sunday, 26 January 2025
  • 167 Time View

বিপ্লব হোসেন ফারুকঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারক চক্রের দৌরত্ম্যে ভুক্তভোগী মানুষগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে এখানে দালাল ও প্রতারক চক্রের বিশাল হাট, যেখানে অসহায় ভুক্তভোগীদের নিয়ে চলে কেনা বেচা । ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হওয়ার সুবাদে উল্লেখিত থানা এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকজনই বিভিন্ন জেলার শ্রমজীবী মানুষ ,ভুক্তভোগীরা আইনি সেবা পেতে তাহারা থানা এলাকায় প্রবেশ করতে না করতেই সম্মানিত প্রতারক ও দালালগণ মৌমাছির মতো গুনগুন শব্দতুলে আকর্ষণ করে, তাদের মাঝে অন্যতম মৌ রাজা বাবুকর্তা, ভাবসাব এমন যে তিনি-ই থানার একমাত্র হর্তাকর্তা কিংবা আদালতের মহাসর্বা।

এ ব্যাপারে এডভোকেট ইউনুছ মিয়ার বক্তব্য হল একজন উকিল সহকারী হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আদালত সহকারীদের এসোসিয়েশনের অনুমোদন পত্র বাধ্যতামূলক । তবে এর কোনোটার বিষয়ে বাবু কর্তার জানা না থাকলেও বাকপটু এই বাবু কখনো উকিল সহকারী কখনো থানার বড়বাবু পরিচয় দিতে ভালো বাসেন,তাই আগত ভুক্তভোগীরা তাকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলেন, এর যুক্তিগত কারণ ও আছে কার্যরণে উল্লেখিত থানায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ডাকসাইটে পুলিশ অফিসার এসআই মিজানের সহচর বলে কথা, বিভিন্ন মামলার অপরাপর আসামি ধরতে ছাড়তে তার মধ্যস্থতা বড় প্রয়োজন এমন কল্যাণকর পন্থা দেখে অন্যান্য কিছুসংখ্যক পুলিশ অফিসার গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে তার সহযোগিতা কামনা করেন,যেহেতু তার এখানেই চলে বিভিন্ন ঘটনার আপোস মীমাংসার নামে বিচারিক কার্যক্রম । তার অবস্থান একজন এডভোকেটের সাজানো গোছানো ল-চেম্বারে যেখানে বসে এডভোকেটের অবর্তমানে ভুক্তভোগীদের নিয়ে শুনানি করে মামলা গ্রহণ করেন কিংবা থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে রাইটার দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে অভিযোগ কফি ডিউটি অফিসারের নিকট পৌঁছে দিয়ে সেবা গ্রহণ করীর নিকট হতে অফিসারের নাম বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরু দক্ষিণা । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন সময়ে বাবু এসআই মিজান কে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে নিরীহ লোকজনদের টার্গেট করে মাদক ব্যবসায়ীর নাটক সাজিয়ে ২ পিস ইয়াবা ২পুরিয়া গাজা পকেটে ঢুকিয়ে কিংবা বাড়ি সার্চ করার নাম করে রুমে ঢুকে তল্লাশির নামে আসবাব পত্র খুঁজে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যার প্রমাণ মিললো বিগত দিনে এনায়েতপুরে শাহীন(৩৫) পিং চান মিয়া (চান্দু কসাই) এর একটি কল রেকর্ড থেকে, হাতিমারা এলাকার রিদয় (৩০) পিং মনতাজ উদ্দিন নামের এক দাঁতের ডাক্তারের নিকট থেকেমোটামুটি টাকা জাবি পরিবারের পক্ষ অসমর্থ থাকায় লোহাকুরের মাদকসম্রাজ্ঞী আকলিমা বেগমকে বিশাল মাদকসহ গ্রেফতার করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখে ফেলা ছিল সার অপরাধ যে কারণে তাকে শ্রীঘরে যেতে হয়েছে , সারদাগঞ্জ ইব্রাহিম মার্কেট এলাকায় সাজন মিয়া (৪৮) পিং কেরামত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গাঁজা সেবন ও সংরক্ষণের দায়ে ৩৬(১) ১৯(ক) বিধি মোতাবেক ২,৫০গ্রাম গাজা একটি স্কুল বেগে সংরক্ষিত অবস্থায় নগদ৫,০০০ হাজার টাকা একটি বাটন মোবাইল সহ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন এস আই মিজান। কিন্তু জব্দ তালিকায় উল্লেখিত টাকা ও মোবাইল সেটটি দেখানো হয়নি যা পরবর্তীতে আসামি পক্ষ এগুলো ফেরত চাইলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয়নি, তবে এ ঘটনারও মুল কারিগর এই বাবু । এসআই মিজানের বিরুদ্ধচারণে রোশনলে পড়লে প্রথাগত ভাবে ঘটনা স্থলে না থাকলেও মামলার অলৌকিক আসামি হতে হয়। কথিত আছে ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ক্রমে এসআই মিজানকে রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হলেও অলৌকিক ক্ষমতা বলে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে এমন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অসহায় সাধারণ মানুষের বক্তব্য ও বিভিন্ন মামলার নথিপত্র থেকে প্রতিীয়মান হয় যে দত্তব্য অপরাধের সার বিষয়বস্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ দায়ছাড়া গুছের, যা একজন পুলিশ অফিসারের নীতি-নৈতিকতার বাহিরে যে কারণে আদালতে ভুক্তভোগী মানুষের ন্যায় বিচারের কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করে ও সংশ্লিষ্ট থানার পারিপার্শ্বিক অবস্থা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলছে। এই ধারাবাহিকতা আস্থা হীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ, যে কারণে তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে মহান পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

পুলিশের আস্কারায় থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারকের হাট

Update Time : 07:08:44 am, Sunday, 26 January 2025

বিপ্লব হোসেন ফারুকঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারক চক্রের দৌরত্ম্যে ভুক্তভোগী মানুষগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে এখানে দালাল ও প্রতারক চক্রের বিশাল হাট, যেখানে অসহায় ভুক্তভোগীদের নিয়ে চলে কেনা বেচা । ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হওয়ার সুবাদে উল্লেখিত থানা এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকজনই বিভিন্ন জেলার শ্রমজীবী মানুষ ,ভুক্তভোগীরা আইনি সেবা পেতে তাহারা থানা এলাকায় প্রবেশ করতে না করতেই সম্মানিত প্রতারক ও দালালগণ মৌমাছির মতো গুনগুন শব্দতুলে আকর্ষণ করে, তাদের মাঝে অন্যতম মৌ রাজা বাবুকর্তা, ভাবসাব এমন যে তিনি-ই থানার একমাত্র হর্তাকর্তা কিংবা আদালতের মহাসর্বা।

এ ব্যাপারে এডভোকেট ইউনুছ মিয়ার বক্তব্য হল একজন উকিল সহকারী হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আদালত সহকারীদের এসোসিয়েশনের অনুমোদন পত্র বাধ্যতামূলক । তবে এর কোনোটার বিষয়ে বাবু কর্তার জানা না থাকলেও বাকপটু এই বাবু কখনো উকিল সহকারী কখনো থানার বড়বাবু পরিচয় দিতে ভালো বাসেন,তাই আগত ভুক্তভোগীরা তাকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলেন, এর যুক্তিগত কারণ ও আছে কার্যরণে উল্লেখিত থানায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ডাকসাইটে পুলিশ অফিসার এসআই মিজানের সহচর বলে কথা, বিভিন্ন মামলার অপরাপর আসামি ধরতে ছাড়তে তার মধ্যস্থতা বড় প্রয়োজন এমন কল্যাণকর পন্থা দেখে অন্যান্য কিছুসংখ্যক পুলিশ অফিসার গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে তার সহযোগিতা কামনা করেন,যেহেতু তার এখানেই চলে বিভিন্ন ঘটনার আপোস মীমাংসার নামে বিচারিক কার্যক্রম । তার অবস্থান একজন এডভোকেটের সাজানো গোছানো ল-চেম্বারে যেখানে বসে এডভোকেটের অবর্তমানে ভুক্তভোগীদের নিয়ে শুনানি করে মামলা গ্রহণ করেন কিংবা থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে রাইটার দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে অভিযোগ কফি ডিউটি অফিসারের নিকট পৌঁছে দিয়ে সেবা গ্রহণ করীর নিকট হতে অফিসারের নাম বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরু দক্ষিণা । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন সময়ে বাবু এসআই মিজান কে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে নিরীহ লোকজনদের টার্গেট করে মাদক ব্যবসায়ীর নাটক সাজিয়ে ২ পিস ইয়াবা ২পুরিয়া গাজা পকেটে ঢুকিয়ে কিংবা বাড়ি সার্চ করার নাম করে রুমে ঢুকে তল্লাশির নামে আসবাব পত্র খুঁজে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যার প্রমাণ মিললো বিগত দিনে এনায়েতপুরে শাহীন(৩৫) পিং চান মিয়া (চান্দু কসাই) এর একটি কল রেকর্ড থেকে, হাতিমারা এলাকার রিদয় (৩০) পিং মনতাজ উদ্দিন নামের এক দাঁতের ডাক্তারের নিকট থেকেমোটামুটি টাকা জাবি পরিবারের পক্ষ অসমর্থ থাকায় লোহাকুরের মাদকসম্রাজ্ঞী আকলিমা বেগমকে বিশাল মাদকসহ গ্রেফতার করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখে ফেলা ছিল সার অপরাধ যে কারণে তাকে শ্রীঘরে যেতে হয়েছে , সারদাগঞ্জ ইব্রাহিম মার্কেট এলাকায় সাজন মিয়া (৪৮) পিং কেরামত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গাঁজা সেবন ও সংরক্ষণের দায়ে ৩৬(১) ১৯(ক) বিধি মোতাবেক ২,৫০গ্রাম গাজা একটি স্কুল বেগে সংরক্ষিত অবস্থায় নগদ৫,০০০ হাজার টাকা একটি বাটন মোবাইল সহ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন এস আই মিজান। কিন্তু জব্দ তালিকায় উল্লেখিত টাকা ও মোবাইল সেটটি দেখানো হয়নি যা পরবর্তীতে আসামি পক্ষ এগুলো ফেরত চাইলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয়নি, তবে এ ঘটনারও মুল কারিগর এই বাবু । এসআই মিজানের বিরুদ্ধচারণে রোশনলে পড়লে প্রথাগত ভাবে ঘটনা স্থলে না থাকলেও মামলার অলৌকিক আসামি হতে হয়। কথিত আছে ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ক্রমে এসআই মিজানকে রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হলেও অলৌকিক ক্ষমতা বলে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে এমন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অসহায় সাধারণ মানুষের বক্তব্য ও বিভিন্ন মামলার নথিপত্র থেকে প্রতিীয়মান হয় যে দত্তব্য অপরাধের সার বিষয়বস্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ দায়ছাড়া গুছের, যা একজন পুলিশ অফিসারের নীতি-নৈতিকতার বাহিরে যে কারণে আদালতে ভুক্তভোগী মানুষের ন্যায় বিচারের কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করে ও সংশ্লিষ্ট থানার পারিপার্শ্বিক অবস্থা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলছে। এই ধারাবাহিকতা আস্থা হীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ, যে কারণে তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে মহান পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।