Dhaka 8:07 pm, Saturday, 22 November 2025

পলাশবাড়ীতে ২০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় নিষিদ্ধ স্যাম্পল ওষুধ জব্দ

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:24:33 am, Thursday, 21 November 2024
  • 149 Time View

মিলন মন্ডল,পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় হারুন সুপার মার্কেটে মেসার্স ফারিহা ফার্মেসিতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মূল্যে স্যাম্পল’ জব্দ করা হয়ছে।

বুধবার ২০ নভেম্বর সকালে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে ঔষধ তত্তাবধায়ক ঔষধ প্রশাসন গাইবান্ধার মোঃ মেহেদী আফজাল (পল্লব)এ অভিজান পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, এই ঔষধ গুলো উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে বাজারে ছাড়ার আগে ট্রায়ালের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়।এসব স্যাম্পল ওষুধের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব দিতে হয় না।বিনামূল্যে দেওয়া এসব ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।

কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই পলাশবাড়ী বিভিন্ন ফার্মেসিতে স্যাম্পল ওষুধের কেনাবেচা চলে আসছে।এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ট্রায়ালে থাকা এসব ওষুধ সেবনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

এসব ওষুধের মোড়কের (প্যাকেট) গায়ে লেখা ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, বিক্রি নিষিদ্ধ’। তবে দোকানিরা এগুলো বিক্রির জন্য কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। ওষুধের মোড়ক পাল্টে বিক্রয়যোগ্য ওষুধের মোড়কে রেখে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

ফার্মেসি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,পলাশবাড়ীতে স্যাম্পল ওষুধ বিক্রির একটি চক্র রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বেশি ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পেয়ে থাকেন। কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তি থেকে চিকিৎসকরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যাম্পল পান। চিকিৎসকরা টাকার বিনিময়ে এসব ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। সরাসরি চিকিৎসকদের মাধ্যমে বা দালাল চক্রের মাধ্যমে ওষুধগুলো খোলা বাজারে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসি মালিক জানান, চিকিৎসকরা ফোন করে তাদের বাসায় অথবা চেম্বারে ডেকে নেন। এরপর তাদের এসব ওষুধ দেওয়া হয়। আর দালালেরা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনে দেন।

মোঃ মেহেদী আফজাল (পল্লব) বলেন, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। ওষুধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের এগুলো দেন রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। এসব ওষুধের প্যাকেটেই লেখা থাকে- ‘এগুলো স্যাম্পল। ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ’। কিন্তু অনেক চিকিৎসক এগুলো ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। ফার্মেসি মালিকরা তখন এসব ওষুধ পুরনো প্যাকেটে ঢুকিয়ে বিক্রি করেন। এটি অপরাধ। স্যাম্পল ওষুধের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

পলাশবাড়ীতে ২০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় নিষিদ্ধ স্যাম্পল ওষুধ জব্দ

Update Time : 06:24:33 am, Thursday, 21 November 2024

মিলন মন্ডল,পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় হারুন সুপার মার্কেটে মেসার্স ফারিহা ফার্মেসিতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মূল্যে স্যাম্পল’ জব্দ করা হয়ছে।

বুধবার ২০ নভেম্বর সকালে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে ঔষধ তত্তাবধায়ক ঔষধ প্রশাসন গাইবান্ধার মোঃ মেহেদী আফজাল (পল্লব)এ অভিজান পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, এই ঔষধ গুলো উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে বাজারে ছাড়ার আগে ট্রায়ালের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়।এসব স্যাম্পল ওষুধের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব দিতে হয় না।বিনামূল্যে দেওয়া এসব ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।

কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই পলাশবাড়ী বিভিন্ন ফার্মেসিতে স্যাম্পল ওষুধের কেনাবেচা চলে আসছে।এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ট্রায়ালে থাকা এসব ওষুধ সেবনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

এসব ওষুধের মোড়কের (প্যাকেট) গায়ে লেখা ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, বিক্রি নিষিদ্ধ’। তবে দোকানিরা এগুলো বিক্রির জন্য কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। ওষুধের মোড়ক পাল্টে বিক্রয়যোগ্য ওষুধের মোড়কে রেখে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

ফার্মেসি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,পলাশবাড়ীতে স্যাম্পল ওষুধ বিক্রির একটি চক্র রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বেশি ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পেয়ে থাকেন। কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তি থেকে চিকিৎসকরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যাম্পল পান। চিকিৎসকরা টাকার বিনিময়ে এসব ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। সরাসরি চিকিৎসকদের মাধ্যমে বা দালাল চক্রের মাধ্যমে ওষুধগুলো খোলা বাজারে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসি মালিক জানান, চিকিৎসকরা ফোন করে তাদের বাসায় অথবা চেম্বারে ডেকে নেন। এরপর তাদের এসব ওষুধ দেওয়া হয়। আর দালালেরা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনে দেন।

মোঃ মেহেদী আফজাল (পল্লব) বলেন, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। ওষুধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের এগুলো দেন রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। এসব ওষুধের প্যাকেটেই লেখা থাকে- ‘এগুলো স্যাম্পল। ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ’। কিন্তু অনেক চিকিৎসক এগুলো ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। ফার্মেসি মালিকরা তখন এসব ওষুধ পুরনো প্যাকেটে ঢুকিয়ে বিক্রি করেন। এটি অপরাধ। স্যাম্পল ওষুধের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।