Dhaka 9:32 am, Saturday, 22 November 2025

ডায়াবেটিস থাকলেও তরমুজ খেতে মানা নেই, জেনে নিন পদ্ধতি

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:02:38 pm, Wednesday, 1 June 2022
  • 389 Time View

ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়া দাওয়ায় অনেক কিছু বিধিনিষেধ চলে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া দাওয়ার প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকরা সব সময়ই ডায়াবেটিক রোগীদের বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক মাত্রায় থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফল মানেই যে স্বাস্থ্যকর এমন নয়। কারণ ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিটি খাবারে ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন।

গরম পড়তেই বাজারে আম, তরমুজ, লিচু, জামরুলের মতো বিভিন্ন রকমারি ফলে বাজার ছেঁয়ে যায়। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা অনেকেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তরমুজ খান না।

রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নির্ভর করে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রার উপর। সহজ কথায় বলতে গেলে খাবারে গ্লাইসেমিক সূচক যত কম হবে, তত ধীরে ধীরে এটি রক্তে শোষিত হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত হয়। জিআই-এর মাত্রা যত বেশি হবে চিনি রক্তে তত দ্রুত প্রবেশ করবে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট সমৃদ্ধ তরমুজে কিন্তু বেশির ভাগই পানি। ১২০ গ্রাম তরমুজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৫।
তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে তরমুজ খেতে পারেন। তবে একবারেই বেশি পরিমাণে নয়। কয়েক টুকরো খেতে পারেন। তবে তরমুজের সঙ্গে অন্য কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো। দিনের বেলা খেলেও রাতে তরমুজ এড়িয়ে চলুন। সবচেয়ে ভালো হয় সকালে যদি খাবারের সঙ্গে তরমুজ খেয়ে নেন। তা হলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mottakim Ahmed

Popular Post

ডায়াবেটিস থাকলেও তরমুজ খেতে মানা নেই, জেনে নিন পদ্ধতি

Update Time : 02:02:38 pm, Wednesday, 1 June 2022

ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়া দাওয়ায় অনেক কিছু বিধিনিষেধ চলে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া দাওয়ার প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকরা সব সময়ই ডায়াবেটিক রোগীদের বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক মাত্রায় থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফল মানেই যে স্বাস্থ্যকর এমন নয়। কারণ ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিটি খাবারে ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন।

গরম পড়তেই বাজারে আম, তরমুজ, লিচু, জামরুলের মতো বিভিন্ন রকমারি ফলে বাজার ছেঁয়ে যায়। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা অনেকেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তরমুজ খান না।

রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নির্ভর করে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রার উপর। সহজ কথায় বলতে গেলে খাবারে গ্লাইসেমিক সূচক যত কম হবে, তত ধীরে ধীরে এটি রক্তে শোষিত হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত হয়। জিআই-এর মাত্রা যত বেশি হবে চিনি রক্তে তত দ্রুত প্রবেশ করবে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট সমৃদ্ধ তরমুজে কিন্তু বেশির ভাগই পানি। ১২০ গ্রাম তরমুজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৫।
তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে তরমুজ খেতে পারেন। তবে একবারেই বেশি পরিমাণে নয়। কয়েক টুকরো খেতে পারেন। তবে তরমুজের সঙ্গে অন্য কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো। দিনের বেলা খেলেও রাতে তরমুজ এড়িয়ে চলুন। সবচেয়ে ভালো হয় সকালে যদি খাবারের সঙ্গে তরমুজ খেয়ে নেন। তা হলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।