Dhaka 9:42 am, Friday, 5 December 2025

বিএনপির সমর্থক হওয়ায় ৫ মাস যাবত পরিবার সহ এলাকা ছাড়া জসিম উদ্দিন ও তার পরিবার

Reporter Name
  • Update Time : 01:02:17 pm, Wednesday, 23 October 2024
  • / 252 Time View
১৮

বিএনপির সমর্থক হওয়ায় ৫ মাস যাবত পরিবার সহ এলাকা ছাড়া জসিম উদ্দিন ও তার পরিবার

কাউছার মিয়াঃপ্রতিনিধিঃন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সমর্থক পেলেই মামলা হামলা করা ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের গৌরবের কাজ।যে নেতা যতবেশি মামলা করে বিএনপির সমর্থকদের জেলে ঢুকাইতে পারতো সে এলাকায় ততবেশি ক্ষমতাবান ব্যক্তিতে পরিনত হতো। নেতাদের সাথে কিছু অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে এই অপকর্ম করতো দেদারসে।
তেমনি একটা ঘটনা ঘটে নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলায়।
ঘটনার বিবরনে জানায,মনোহরদী থানার কাচিকাটা ইউনিয়নের খাড়াব ভূইয়ার বাড়ীর মোঃ আলতাফ ভূইয়ার পুত্র মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূঞা মালয়শিয়া প্রবাসী,তিনি বিএনপির সমর্থক হওয়ায় একই এলাকার প্রভাবশালী মুকুল হোসেন ফালু এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কনকের যোগসাজশে জসিমকে এলাকা ছাড়া করার সুযোগ খুজে।একসময় সেই সুযোগ পেয়ে যায়, তারই আপন ভাইয়ে সাথে জমি নিয়ে বিরুধ সৃষ্টি হয়।এই বিরুধকে কেন্দ্র করে জসিমের পুরো পরিবারকে মারধর করে এলাকা ছাড়া করে।

এবিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন,আমি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলাম দেশে থাকাকালীন আমি বিএনপির সমর্থক ছিলাম।তখন থেকে মুকুল হোসেন ফালু আমাকে মামলা দিয়ে শায়েস্তা করার চেস্টা করে। আমি মামলার ভয়ে বিদেশে পাড়ি দেই। আমি দেশে ছুটিতে আসলে গত ১৫/৫/২৪ ইং তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব উদ্দিন ভূঞার সাথে দীর্ঘদিন জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাকে পরিবার সহ এলাকা ছাড়া করার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি, ছোড়া, শাবল, কোদাল, সরকারী পিস্তল, লোহার রড ইত্যাদি সহ বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মুকুলের নির্দেশে আমাকে ও আমার পরিবারের সকল সদস্যদের মেরে রক্তাক্ত জখম করে। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় শুধু হামলাই করেনি তারা আমার ঘরে থাকা নগদ অর্থ সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার বৃদ্ধ পিতা সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি মনোহরদী থানায় বারবার গিয়েও কোন মামলা করতে পারিনি। উপরন্তু এস আই মেহেদী হাসানের সহযোগিতা নিয়ে আমাকে মারধর করে এলাকা ছাড়া করে। আমি ন্যায় বিচারের আশায় নরসিংদী আদালতে মামলা দায়ের করছি, মামলা নং মনোহরদী সি আর ৭৫২/২৪। আসামীরা হলো
১। মুকুল হোসেন ফালু, পিতা- সাহাব উদ্দিন ভূইয়া,২। কনক চেয়ারম্যানা, পিতা- মো: বাচ্চু মিয়া,৩। মেহেদী হাসান, সাব ইন্সপেক্টর, মনোহরদী থানা,81 আফতাব উদ্দিন ভূঞা (৪৫), পিতামৃত- শাহাব উদ্দিন ভূইয়া
৫। রেজাউল ভূইয়া (২৩), পিতা- বাবুল ভূইয়া
৬। শাহিদ (৪৫), পিতামৃত- তমর উদ্দিন মৃধা
۹۱ মাঈনুল হাসান পলাশ (৪০), ৮। শ্যামল (২৪), পিতা- মজিবুর রহমান, সাং- বড় মির্জাপুর,৯। সোহরাব (২২), পিতা- শাহিদ,
১০। লিমন (২৩), পিতা- মজিবুর রহমান, সাং- বড় মির্জাপুর,১১। ওহিদ (৫০), পিতামৃত-আজিজ ভূঞা,১২। আবদুস সামাদ (৪২), পিতামৃত- আ: বারিক ভূঞা,
১৩। রফিকুল (৫০), পিতা- মৃত শাহাজ উদ্দিন।

এবিষয়ে মুকুল হোসেন ফালু বলেন, জসিম উদ্দিন তার আপন ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে মারামারি করছে,আমার ভাই মিমাংসা করতে গিয়ে মার খেয়ে এসেছে। আমি তো ঢাকায় থাকি তার সাথে আমার কোন বিরুধ নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিএনপির সমর্থক হওয়ায় ৫ মাস যাবত পরিবার সহ এলাকা ছাড়া জসিম উদ্দিন ও তার পরিবার

Update Time : 01:02:17 pm, Wednesday, 23 October 2024
১৮

বিএনপির সমর্থক হওয়ায় ৫ মাস যাবত পরিবার সহ এলাকা ছাড়া জসিম উদ্দিন ও তার পরিবার

কাউছার মিয়াঃপ্রতিনিধিঃন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সমর্থক পেলেই মামলা হামলা করা ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের গৌরবের কাজ।যে নেতা যতবেশি মামলা করে বিএনপির সমর্থকদের জেলে ঢুকাইতে পারতো সে এলাকায় ততবেশি ক্ষমতাবান ব্যক্তিতে পরিনত হতো। নেতাদের সাথে কিছু অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে এই অপকর্ম করতো দেদারসে।
তেমনি একটা ঘটনা ঘটে নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলায়।
ঘটনার বিবরনে জানায,মনোহরদী থানার কাচিকাটা ইউনিয়নের খাড়াব ভূইয়ার বাড়ীর মোঃ আলতাফ ভূইয়ার পুত্র মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূঞা মালয়শিয়া প্রবাসী,তিনি বিএনপির সমর্থক হওয়ায় একই এলাকার প্রভাবশালী মুকুল হোসেন ফালু এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কনকের যোগসাজশে জসিমকে এলাকা ছাড়া করার সুযোগ খুজে।একসময় সেই সুযোগ পেয়ে যায়, তারই আপন ভাইয়ে সাথে জমি নিয়ে বিরুধ সৃষ্টি হয়।এই বিরুধকে কেন্দ্র করে জসিমের পুরো পরিবারকে মারধর করে এলাকা ছাড়া করে।

এবিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন,আমি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলাম দেশে থাকাকালীন আমি বিএনপির সমর্থক ছিলাম।তখন থেকে মুকুল হোসেন ফালু আমাকে মামলা দিয়ে শায়েস্তা করার চেস্টা করে। আমি মামলার ভয়ে বিদেশে পাড়ি দেই। আমি দেশে ছুটিতে আসলে গত ১৫/৫/২৪ ইং তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব উদ্দিন ভূঞার সাথে দীর্ঘদিন জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাকে পরিবার সহ এলাকা ছাড়া করার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি, ছোড়া, শাবল, কোদাল, সরকারী পিস্তল, লোহার রড ইত্যাদি সহ বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মুকুলের নির্দেশে আমাকে ও আমার পরিবারের সকল সদস্যদের মেরে রক্তাক্ত জখম করে। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় শুধু হামলাই করেনি তারা আমার ঘরে থাকা নগদ অর্থ সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার বৃদ্ধ পিতা সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি মনোহরদী থানায় বারবার গিয়েও কোন মামলা করতে পারিনি। উপরন্তু এস আই মেহেদী হাসানের সহযোগিতা নিয়ে আমাকে মারধর করে এলাকা ছাড়া করে। আমি ন্যায় বিচারের আশায় নরসিংদী আদালতে মামলা দায়ের করছি, মামলা নং মনোহরদী সি আর ৭৫২/২৪। আসামীরা হলো
১। মুকুল হোসেন ফালু, পিতা- সাহাব উদ্দিন ভূইয়া,২। কনক চেয়ারম্যানা, পিতা- মো: বাচ্চু মিয়া,৩। মেহেদী হাসান, সাব ইন্সপেক্টর, মনোহরদী থানা,81 আফতাব উদ্দিন ভূঞা (৪৫), পিতামৃত- শাহাব উদ্দিন ভূইয়া
৫। রেজাউল ভূইয়া (২৩), পিতা- বাবুল ভূইয়া
৬। শাহিদ (৪৫), পিতামৃত- তমর উদ্দিন মৃধা
۹۱ মাঈনুল হাসান পলাশ (৪০), ৮। শ্যামল (২৪), পিতা- মজিবুর রহমান, সাং- বড় মির্জাপুর,৯। সোহরাব (২২), পিতা- শাহিদ,
১০। লিমন (২৩), পিতা- মজিবুর রহমান, সাং- বড় মির্জাপুর,১১। ওহিদ (৫০), পিতামৃত-আজিজ ভূঞা,১২। আবদুস সামাদ (৪২), পিতামৃত- আ: বারিক ভূঞা,
১৩। রফিকুল (৫০), পিতা- মৃত শাহাজ উদ্দিন।

এবিষয়ে মুকুল হোসেন ফালু বলেন, জসিম উদ্দিন তার আপন ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে মারামারি করছে,আমার ভাই মিমাংসা করতে গিয়ে মার খেয়ে এসেছে। আমি তো ঢাকায় থাকি তার সাথে আমার কোন বিরুধ নেই।