Dhaka 9:19 pm, Wednesday, 3 December 2025

চাচির চল্লিশার আয়োজনকে ঘিরে রাতে সংঘর্ষে নিহত১ আহত অনেকে!

Reporter Name
  • Update Time : 03:21:45 pm, Tuesday, 14 May 2024
  • / 277 Time View
১২
 মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া:- কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে মৃত চাচির কুলখানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন ও আহত অনেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি ।১৩ মে ২০২৪ইং সোমবার  রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত বকুল হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সাত/আট জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নিহত বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানি অন্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজন করে সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন।
এতে বকুল বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। গত শনিবার বকুল বিশ্বাস তাদের সমাজের লোকজন নিয়ে চাচির কুলখানির কাজ শেষ করেন। এরই জের ধরে রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান।
শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বাধে। শিপন বিশ্বাস আমাদের জানায় তার সমাজের লোকজন নিয়ে কুলখানির অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে আমরা অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পরে নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ছয়জন আহত হয়।
তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। শিপন বিশ্বাস নিজে নিহত বকুলের বুকে ফালা দিয়ে আঘাত করে বলেও দাবি করেন নিয়াজি খান। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বকুল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

চাচির চল্লিশার আয়োজনকে ঘিরে রাতে সংঘর্ষে নিহত১ আহত অনেকে!

Update Time : 03:21:45 pm, Tuesday, 14 May 2024
১২
 মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া:- কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে মৃত চাচির কুলখানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন ও আহত অনেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি ।১৩ মে ২০২৪ইং সোমবার  রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত বকুল হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সাত/আট জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নিহত বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানি অন্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজন করে সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন।
এতে বকুল বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। গত শনিবার বকুল বিশ্বাস তাদের সমাজের লোকজন নিয়ে চাচির কুলখানির কাজ শেষ করেন। এরই জের ধরে রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান।
শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বাধে। শিপন বিশ্বাস আমাদের জানায় তার সমাজের লোকজন নিয়ে কুলখানির অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে আমরা অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পরে নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ছয়জন আহত হয়।
তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। শিপন বিশ্বাস নিজে নিহত বকুলের বুকে ফালা দিয়ে আঘাত করে বলেও দাবি করেন নিয়াজি খান। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বকুল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।