Dhaka 4:47 pm, Wednesday, 3 December 2025

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর আহ্বান মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধানের

Daily Agnishikha
  • Update Time : 09:47:45 am, Wednesday, 3 December 2025
  • / 24 Time View
৩০

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের তালিকা আরও বাড়ানোর জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

তার অভিযোগ, কিছু দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘খুনি’ ও ‘পরজীবী’ ঢুকে পড়ছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের সংখ্যা বর্তমান ১৯ থেকে বাড়িয়ে ৩০-এ উন্নীত করার কথা ভাবছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার মধ্যেই নোয়েম সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এই বার্তা দেন।

সোমবার রাতে এক্স-এ দেওয়া পোস্টে নোম বলেন, ‘যে সব দেশ আমাদের দেশে খুনি, পরজীবী ও সুবিধাভোগী পাঠাচ্ছে, তাদের ওপর পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করছি।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত, ঘাম আর স্বাধীনতার প্রতি অটল ভালোবাসা দিয়ে এই দেশ গড়েছেন। বিদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যেন আমাদের বীরদের হত্যা করতে না পারে, করের টাকা শুষে নিতে না পারে কিংবা আমেরিকানদের প্রাপ্য সুবিধা ছিনিয়ে নিতে না পারে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নোমের বার্তাটি শেয়ার করেছেন। গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটনে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের ওপর হামলার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হতে পারে।’

হোয়াইট হাউসের কাছে ঘটে যাওয়া ওই হামলায় এক সেনা নিহত হন। ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী এক আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি বছরের জুন থেকে ১৯টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, বুরুন্ডি, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কিউবা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, মিয়ানমার, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশের সময় লাখ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাপক অভিবাসন দমন অভিযান চালাচ্ছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর আহ্বান মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধানের

Update Time : 09:47:45 am, Wednesday, 3 December 2025
৩০

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের তালিকা আরও বাড়ানোর জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

তার অভিযোগ, কিছু দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘খুনি’ ও ‘পরজীবী’ ঢুকে পড়ছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের সংখ্যা বর্তমান ১৯ থেকে বাড়িয়ে ৩০-এ উন্নীত করার কথা ভাবছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার মধ্যেই নোয়েম সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এই বার্তা দেন।

সোমবার রাতে এক্স-এ দেওয়া পোস্টে নোম বলেন, ‘যে সব দেশ আমাদের দেশে খুনি, পরজীবী ও সুবিধাভোগী পাঠাচ্ছে, তাদের ওপর পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করছি।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত, ঘাম আর স্বাধীনতার প্রতি অটল ভালোবাসা দিয়ে এই দেশ গড়েছেন। বিদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যেন আমাদের বীরদের হত্যা করতে না পারে, করের টাকা শুষে নিতে না পারে কিংবা আমেরিকানদের প্রাপ্য সুবিধা ছিনিয়ে নিতে না পারে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নোমের বার্তাটি শেয়ার করেছেন। গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটনে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের ওপর হামলার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হতে পারে।’

হোয়াইট হাউসের কাছে ঘটে যাওয়া ওই হামলায় এক সেনা নিহত হন। ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী এক আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি বছরের জুন থেকে ১৯টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, বুরুন্ডি, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কিউবা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, মিয়ানমার, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশের সময় লাখ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাপক অভিবাসন দমন অভিযান চালাচ্ছেন।