Dhaka 6:43 pm, Sunday, 23 November 2025

নবাবগঞ্জে হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:21:22 pm, Sunday, 27 April 2025
  • 89 Time View

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জের নিখোঁজ অটোরিকশা চালক শেখ শাহআলম (৬০) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।

বৃহষ্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় নিহতের বাড়ি উপজেলার বাহ্রা পশ্চিম এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবাবগঞ্জ সদরে আসেন এলাকাবাসী ও স্বজনরস। পরে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে তারা মানববন্ধন করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধরা শহীদ মিনারের সামনের ঢাকা-বান্দুরা আন্তঃসড়ক অবরুদ্ধ করেন। ১০ মিনিটে সড়কের দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়।

মানববন্ধনে দাড়িয়ে এলাকাবাসীসহ স্বজনরা জানান, অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধারের ১৮দিনেও মামলায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না। আমরা গরিব মানুষ বলে কি বিচার পাবো না।

নিহত অটোরিকশা চালক শাহআলমের নবাবগঞ্জের বাহ্রা পশ্চিম গ্রামের বাসিন্দা।

অটোরিকশা চালক নিখোঁজের পর শাহআলমের নাতি আরাফাত হোসেন ওই দিন রাতেই নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। ৪দিন পর গত ৬ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খারশুর তালতলা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনরা তার লাশ শানক্ত করেন। লাশের শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দুই থানা এলাকার সীমানা ও ঘটনাস্থলের জটিলতার কারণে ৫দিন পর ১০ এপ্রিল সিরাজদিখান থানায় মামলা রজু হয়।

নিহতের ছেলে মনির হোসেন বলেন, দুই থানাতেই ঘুরেছেন তিনি। অবশেষে সিরাজদিখান থানা মামলা নিলেও আসামী ধরায় তৎপরতা নেই। মামলার এজাহার নামীয় সন্দেহভাজন ৬ আসামীই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।

নিহতের অটোরিকশা চালকের মেয়ে লাকি আক্তার অভিযোগ করেন, বসত বাড়ির রাস্তার জমি সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিবেশী আনেস ও কালুর সাথে তার বাবার ঝগড়া ছিলো। এদিকে ঘটনার পর হতেই আনেস ও কালুর পরিবারের লোকজন ঘরের দরজায় তালা মেরে পালিয়েছে।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে মামলার তদন্ত এগিয়েছে জানিয়ে বলেন, পুলিশ সংশ্লিষ্ঠদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

নবাবগঞ্জে হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী

Update Time : 12:21:22 pm, Sunday, 27 April 2025

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জের নিখোঁজ অটোরিকশা চালক শেখ শাহআলম (৬০) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।

বৃহষ্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় নিহতের বাড়ি উপজেলার বাহ্রা পশ্চিম এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবাবগঞ্জ সদরে আসেন এলাকাবাসী ও স্বজনরস। পরে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে তারা মানববন্ধন করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধরা শহীদ মিনারের সামনের ঢাকা-বান্দুরা আন্তঃসড়ক অবরুদ্ধ করেন। ১০ মিনিটে সড়কের দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়।

মানববন্ধনে দাড়িয়ে এলাকাবাসীসহ স্বজনরা জানান, অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধারের ১৮দিনেও মামলায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না। আমরা গরিব মানুষ বলে কি বিচার পাবো না।

নিহত অটোরিকশা চালক শাহআলমের নবাবগঞ্জের বাহ্রা পশ্চিম গ্রামের বাসিন্দা।

অটোরিকশা চালক নিখোঁজের পর শাহআলমের নাতি আরাফাত হোসেন ওই দিন রাতেই নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। ৪দিন পর গত ৬ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খারশুর তালতলা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনরা তার লাশ শানক্ত করেন। লাশের শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দুই থানা এলাকার সীমানা ও ঘটনাস্থলের জটিলতার কারণে ৫দিন পর ১০ এপ্রিল সিরাজদিখান থানায় মামলা রজু হয়।

নিহতের ছেলে মনির হোসেন বলেন, দুই থানাতেই ঘুরেছেন তিনি। অবশেষে সিরাজদিখান থানা মামলা নিলেও আসামী ধরায় তৎপরতা নেই। মামলার এজাহার নামীয় সন্দেহভাজন ৬ আসামীই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।

নিহতের অটোরিকশা চালকের মেয়ে লাকি আক্তার অভিযোগ করেন, বসত বাড়ির রাস্তার জমি সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিবেশী আনেস ও কালুর সাথে তার বাবার ঝগড়া ছিলো। এদিকে ঘটনার পর হতেই আনেস ও কালুর পরিবারের লোকজন ঘরের দরজায় তালা মেরে পালিয়েছে।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে মামলার তদন্ত এগিয়েছে জানিয়ে বলেন, পুলিশ সংশ্লিষ্ঠদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।