Dhaka 12:48 am, Monday, 24 November 2025

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের দাবি

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:53:14 am, Wednesday, 5 March 2025
  • 111 Time View

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার আমলের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ ও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। ইট ভাটা চালু রাখার দাবিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মঙ্গলবার ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালনকালে তারা এসব দাবি জানান।

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার ডাকে দুপুরে ভাটা মালিক ও শ্রমিকদের একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এতে প্লাকার্ড, ফেস্টুন হাতে মালিক ও শ্রমিকরা তাদের দাবির সপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সমিতির উপদেষ্টা নুরন্নবী প্রামাণিক সাজু, সমিতির কোষাধ্যক্ষ সিফাত হোসেন, ভাটা শ্রমিক ডলার মিয়া, ফুলমিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ সারাদেশে ইট ভাটা মালিকরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের হয়রানির শিকার। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। অথচ নানা অজুহাতে ইট ভাটাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। তারা অবিলম্বে হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, পূর্বে ইট ভাটার দূষণমাত্রা ছিল ৫৮ শতাংশ, বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিদ্যমান জিগজাগ ইটভাটায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। উপরন্তু ইট ভাটায় কর্মরত ৫০ লাখ শ্রমিক ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির সংস্থান করছে। এছাড়াও ইট ভাটা থেকে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে। কিন্তু ইটা ভাটা মালিকদের মাঝে মাঝেই হয়রানি করা হয়, ইট ভাটা ভেঙে দিয়ে জরিমানা করা হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ান হাসান অত্যন্ত আন্তরিক হলেও বর্তমানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ইট ভাটার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবরে ভাটা মালিকদের সাত দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ইট ভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা, জিগজাগ ইট ভাটায় হয়রানি ও মোবাইল কোর্ট বন্ধ,মাটি কাটার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইট ভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক বিধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে দুই দেশের অঙ্গীকার

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের দাবি

Update Time : 05:53:14 am, Wednesday, 5 March 2025

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার আমলের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ ও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। ইট ভাটা চালু রাখার দাবিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মঙ্গলবার ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালনকালে তারা এসব দাবি জানান।

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার ডাকে দুপুরে ভাটা মালিক ও শ্রমিকদের একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এতে প্লাকার্ড, ফেস্টুন হাতে মালিক ও শ্রমিকরা তাদের দাবির সপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সমিতির উপদেষ্টা নুরন্নবী প্রামাণিক সাজু, সমিতির কোষাধ্যক্ষ সিফাত হোসেন, ভাটা শ্রমিক ডলার মিয়া, ফুলমিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ সারাদেশে ইট ভাটা মালিকরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের হয়রানির শিকার। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। অথচ নানা অজুহাতে ইট ভাটাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। তারা অবিলম্বে হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, পূর্বে ইট ভাটার দূষণমাত্রা ছিল ৫৮ শতাংশ, বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিদ্যমান জিগজাগ ইটভাটায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। উপরন্তু ইট ভাটায় কর্মরত ৫০ লাখ শ্রমিক ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির সংস্থান করছে। এছাড়াও ইট ভাটা থেকে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে। কিন্তু ইটা ভাটা মালিকদের মাঝে মাঝেই হয়রানি করা হয়, ইট ভাটা ভেঙে দিয়ে জরিমানা করা হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ান হাসান অত্যন্ত আন্তরিক হলেও বর্তমানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ইট ভাটার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবরে ভাটা মালিকদের সাত দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ইট ভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা, জিগজাগ ইট ভাটায় হয়রানি ও মোবাইল কোর্ট বন্ধ,মাটি কাটার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইট ভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক বিধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।