হাদি হত্যায় সাক্ষী হিসেবে প্রথম জবানবন্দি দিলেন অটোরিকশা চালক কামাল হোসেন
- Update Time : 08:28:35 pm, Thursday, 25 December 2025
- / 21 Time View
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী হিসাবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অটোরিকশা চালক মো. কামাল হোসেন (৪৬)।
গত ১২ ডিসেম্বর কামাল হোসেনের অটোরিকশায় চড়ে মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন শরিফ ওসমান হাদি।
আজ বৃহস্পতিবার কামাল হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হন। এসময় তিনি সাক্ষী হিসাবে স্বতস্ফূর্তভাবে আদালতে বক্তব্য দিতে ইচ্ছা পোষণ করলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জমশেদ আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডস্থ ডিআর টাওয়ারের সামনে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের অভিমুখী রাস্তায় মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী চলন্ত অটোরিকশায় শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আবেদনে আরো বলা হয়, মামলাটি একটি চানঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। ঘটনাকালে শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গনি সাক্ষী মো. কামাল হোসেন (৪৬) এর চালিত অটোরিকশা যোগে খলিল হোটেল, মতিঝিল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী স্বতস্ফূর্তভাবে তার বক্তব্য আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীর জবানবন্দি সিআরপিসি ১৬৪ ধারা মতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে দুষ্কৃতিকারীরা ওসমান হাদির ওপর গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১২০(বি)/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।



















