Dhaka 5:39 pm, Tuesday, 23 December 2025

রামুতে সংঘবদ্ধ হামলায় যুবক নিহত: এক মাসেও গ্রেপ্তার নেই, হতাশ পরিবার

কক্সবাজার (রামু) প্রতিনিধি
  • Update Time : 03:41:59 pm, Tuesday, 23 December 2025
  • / 69 Time View
৮৫

 

রামু থানাধীন দক্ষিণ চাকমারকুল মুজিবের দ্বীপ এলাকায় সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়ে রহমতুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রায় এক মাস পার হলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশা ও উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে নিহতের পরিবার।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ চাকমারকুল মুজিবের দ্বীপ এলাকায় রহিম, নুরুল হক, মনজুর আলমসহ ৭-৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রহমতুল্লাহকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে গত ২৩ নভেম্বর তিনি মারা যান।

  • এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে গত ২৫ নভেম্বর রামু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার এক মাস পার হলেও অভিযুক্তদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবার চরম হতাশায় ভুগছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এর আগেও ২০২২ সালে রহমতুল্লাহকে অপহরণ করেছিল। পরে পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরিবার জানায়, সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

  • ঘটনার দিন ১৪ নভেম্বর রহমতুল্লাহ মুজিবের দ্বীপ জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে নিজস্ব সুপারি বাগানে গেলে দেখতে পান অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে সুপারি পাড়ছে। এতে বাধা দিলে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহতের পরিবার আরও অভিযোগ করে জানায়, এজাহারনামীয় আসামিরা জোরপূর্বক তাদের জমি দখল এবং সুপারি বাগান থেকে প্রায়ই সুপারি নিয়ে যেত।

এ বিষয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত রহমতুল্লাহর বৃদ্ধ বাবা সন্তানের হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, “আমার নির্দোষ ছেলেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “আসামিরা পলাতক থাকায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তারে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রামুতে সংঘবদ্ধ হামলায় যুবক নিহত: এক মাসেও গ্রেপ্তার নেই, হতাশ পরিবার

Update Time : 03:41:59 pm, Tuesday, 23 December 2025
৮৫

 

রামু থানাধীন দক্ষিণ চাকমারকুল মুজিবের দ্বীপ এলাকায় সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়ে রহমতুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রায় এক মাস পার হলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশা ও উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে নিহতের পরিবার।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ চাকমারকুল মুজিবের দ্বীপ এলাকায় রহিম, নুরুল হক, মনজুর আলমসহ ৭-৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রহমতুল্লাহকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে গত ২৩ নভেম্বর তিনি মারা যান।

  • এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে গত ২৫ নভেম্বর রামু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার এক মাস পার হলেও অভিযুক্তদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবার চরম হতাশায় ভুগছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এর আগেও ২০২২ সালে রহমতুল্লাহকে অপহরণ করেছিল। পরে পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরিবার জানায়, সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

  • ঘটনার দিন ১৪ নভেম্বর রহমতুল্লাহ মুজিবের দ্বীপ জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে নিজস্ব সুপারি বাগানে গেলে দেখতে পান অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে সুপারি পাড়ছে। এতে বাধা দিলে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহতের পরিবার আরও অভিযোগ করে জানায়, এজাহারনামীয় আসামিরা জোরপূর্বক তাদের জমি দখল এবং সুপারি বাগান থেকে প্রায়ই সুপারি নিয়ে যেত।

এ বিষয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত রহমতুল্লাহর বৃদ্ধ বাবা সন্তানের হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, “আমার নির্দোষ ছেলেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “আসামিরা পলাতক থাকায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তারে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”