Dhaka 5:21 pm, Thursday, 11 December 2025

জাতীয় নির্বাচনের পর পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : 01:41:48 pm, Thursday, 11 December 2025
  • / 23 Time View
৩২

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এই আপিলের শুনানি আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনে, ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ ওই সংশোধনীতে সংবিধানে ৫৪টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছিল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরো আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদকসহ পাঁচ ব্যক্তি একটি এবং নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন আরেকটি রিট করেন। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এই দুটিসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রায়ে গণভোটের বিধান সংক্রান্ত ১৪২ অনুচ্ছেদ (দ্বাদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে আনা) পুনর্বহাল করা হয়।

পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বাতিল না করে, অন্য বিধানগুলোর বিষয়ে আইন অনুসারে পরবর্তী সংসদ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুজন সম্পাদকসহ চার ব্যক্তি একটি আপিল করেন। এছাড়া নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন একটি এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আরেকটি আপিল করেন।

আদালতে বদিউল আলম মজুমদারসহ চার ব্যক্তির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।

মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আদালতে বিএনপি’র পক্ষে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

এছাড়া স্বতন্ত্র ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জাতীয় নির্বাচনের পর পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি

Update Time : 01:41:48 pm, Thursday, 11 December 2025
৩২

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এই আপিলের শুনানি আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনে, ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ ওই সংশোধনীতে সংবিধানে ৫৪টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছিল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরো আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদকসহ পাঁচ ব্যক্তি একটি এবং নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন আরেকটি রিট করেন। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এই দুটিসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রায়ে গণভোটের বিধান সংক্রান্ত ১৪২ অনুচ্ছেদ (দ্বাদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে আনা) পুনর্বহাল করা হয়।

পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বাতিল না করে, অন্য বিধানগুলোর বিষয়ে আইন অনুসারে পরবর্তী সংসদ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুজন সম্পাদকসহ চার ব্যক্তি একটি আপিল করেন। এছাড়া নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন একটি এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আরেকটি আপিল করেন।

আদালতে বদিউল আলম মজুমদারসহ চার ব্যক্তির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।

মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আদালতে বিএনপি’র পক্ষে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

এছাড়া স্বতন্ত্র ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী।