Dhaka 7:09 pm, Wednesday, 10 December 2025

বসুন্ধরা গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : 05:31:19 pm, Wednesday, 10 December 2025
  • / 21 Time View
৩১

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বসুন্ধরা ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত সোবহান ও পরিচালক সাফিয়াত সোবহান। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক মনোয়ারা শিকদার, পারভীন হক শিকদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, রিক হক শিকদার, রন হক শিকদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও একেএম এনামুল হক শামীম এবং একই ব্যাংকের গুলশান শাখার ম্যানেজার আরিফ মো. শহিদুল হকসহ আরও ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার নাম আসামী তালিকায় রয়েছে।

দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির নিয়ম-কানুন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বসুন্ধরা ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডের নামে মোট ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। পর্যাপ্ত জামানত, স্টক রিপোর্ট, পরিদর্শন প্রতিবেদন, ক্রেডিট রেটিং ও গ্রাহকের প্রকৃত ঋণ পরিশোধ সক্ষমতার যাচাই ছাড়াই ভুয়া আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে এ ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গ্রাহকের ওপর অন্যান্য ব্যাংকে থাকা ৬২৯.১৬ কোটি টাকার দায়-দেনার বিষয়টিও ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও গ্রাহককে আলাদা গ্রুপ দেখিয়ে একক ঋণগ্রহীতা ঋণসীমা অতিক্রম করে ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমেও ব্যাংক কোম্পানি আইন ও অভ্যন্তরীণ নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ফান্ডেড ঋণের ৬০০ কোটি টাকা বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে আসামিরা তা বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর ও নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন এবং অর্থের উৎস ও মালিকানা গোপন করতে মানিলন্ডারিং কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন।

এসব অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি দমন আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বসুন্ধরা গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Update Time : 05:31:19 pm, Wednesday, 10 December 2025
৩১

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বসুন্ধরা ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত সোবহান ও পরিচালক সাফিয়াত সোবহান। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক মনোয়ারা শিকদার, পারভীন হক শিকদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, রিক হক শিকদার, রন হক শিকদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও একেএম এনামুল হক শামীম এবং একই ব্যাংকের গুলশান শাখার ম্যানেজার আরিফ মো. শহিদুল হকসহ আরও ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার নাম আসামী তালিকায় রয়েছে।

দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির নিয়ম-কানুন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বসুন্ধরা ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডের নামে মোট ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। পর্যাপ্ত জামানত, স্টক রিপোর্ট, পরিদর্শন প্রতিবেদন, ক্রেডিট রেটিং ও গ্রাহকের প্রকৃত ঋণ পরিশোধ সক্ষমতার যাচাই ছাড়াই ভুয়া আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে এ ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গ্রাহকের ওপর অন্যান্য ব্যাংকে থাকা ৬২৯.১৬ কোটি টাকার দায়-দেনার বিষয়টিও ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও গ্রাহককে আলাদা গ্রুপ দেখিয়ে একক ঋণগ্রহীতা ঋণসীমা অতিক্রম করে ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমেও ব্যাংক কোম্পানি আইন ও অভ্যন্তরীণ নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ফান্ডেড ঋণের ৬০০ কোটি টাকা বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে আসামিরা তা বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর ও নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন এবং অর্থের উৎস ও মালিকানা গোপন করতে মানিলন্ডারিং কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন।

এসব অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি দমন আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।